বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল

মারধরের অভিযোগে তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত নৌকা প্রতীকের এক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন এলাকার মানুষ। সোমবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপুর বিরুদ্ধে খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসার সামনে এ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসরাইল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- মাসুদুর রহমান, যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান, জাকির হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামসহ অনেকে।

মারপিটের শিকার তুহিন রেজা অভিযোগ করে বলেন, ‘রবিবার সন্ধ্যায় তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউপি নির্বাচনে উপজেলার ৭নং রায়গ্রাম ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ পদে টিউবওয়েল প্রতীকের প্রার্থী নজরুল ইসলাম পরাজিত হন। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন নিয়ে রাত ৭টার দিকে বিজয়ী ফুটবল প্রতিকের প্রার্থী ইসমাইল হোসেনের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আমিসহ কয়েকজনকে মারধর করে। এ ছাড়া দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় তারা। চেয়ারম্যান অপু নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে মারধর ও বোমা বিস্ফোরণ করেন।’

রাতেই এলাকাবাসী এ ঘটনার প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়েই পুলিশ ও কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে আধাঘণ্টা পর এলাকাবাসী অবরোধ তুলে নেয়।

চেয়ারম্যান আলী হোসেন অপু বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। তবে আমার ছেলেরা একজনকে একটি চড় মারাকে কেন্দ্র করে সেখানে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি ঠান্ডা করে সবাইকে বাড়ি পাঠিয়ে দিই। এরপর রাতেই আমার প্রতিপক্ষের কয়েকজনের প্ররোচনায় তারা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ করে। আজ আবার তারা সমাবেশ করেছে। এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছুই নয়।’

এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান মিয়া জানান, ভোট পরবর্তী হামলার ঘটনার সংবাদ পেয়েই তিনি ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনও পক্ষই থানায় অভিযোগ দেয়নি।