বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে রাতেও নৌযান চলাচল শুরু

বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘাষিয়াখালী ক্যানেলে রাতেও নৌযান চলাচল শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাত থেকে আন্তর্জাতিক এই ক্যানেল দিয়ে কার্গো, কোস্টার ও ট্যাংকারসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল করছে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এই অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএর উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ড্রেজিং বিভাগ) মো. আনসিুজ্জামান রকি জানান, ক্যানেলটি উন্মুক্ত করার পর থেকে শুধু দিনে নৌযান চলাচল করতো। রাতে এই নৌপথ দিয়ে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা ছিল। কিন্তু বিআইডব্লিউটিএ সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়ে রাতেও নৌযান চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে। 

তিনি জানান, রাতে নৌযান চলাচলের নির্দেশনা বৃহস্পতিবার বিকালে হাতে এসে পৌঁছায়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়ে তা কার্যকরে সংশ্লিষ্ট নৌ ক্যানেলের ড্রেজিং কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও ড্রেজার মালিকদের অবহিত করা হয়। নৌযান চলাচল নির্বিঘ্ন ও দুর্ঘটনার ঝুঁকি এড়াতে ড্রেজারগুলোতে পর্যাপ্ত লাইট, রেড মার্কা ও বয়া স্থাপন করতে বলা হয়েছে। ক্যানেলটিতে নাইট নেভিগেশনেরও কাজ শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ’র নেভিগেশন বিভাগ।
 
উল্লেখ্য, নাব্যতা সংকটের কারণে ক্যানলেটিতে ২০১০ থেকে ২০১৫ সাল র্পযন্ত নৌযান চলাচল বন্ধ থাকে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে মোংলা বন্দরের ওপর। কারণ মোংলা বন্দরে আগত বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য দেশের বিভিন্ন স্থানে এই নৌপথে আনা-নেওয়া হয়। ফলে মোংলা বন্দর সচল রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ২০১৫ সালে ক্যানলেটি সচলের জন্য বিআইডব্লিউটিএকে নির্দেশ দেন। 

সেই নির্দেশনার প্রেক্ষিতে বিআইডব্লিউটিএ ক্যানেলে খনন কাজ শুরু করেন। এরপর ২০১৬ সালরে ২৭ অক্টোবর ভিডিও কনফারন্সেরে মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী ক্যানলেটি উন্মুক্ত ঘোষণা করেন। সেই থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে ক্যানেল দিয়ে শুধু দিনে নৌযান চলাচল করে আসছিল।