হরতালের সমর্থনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা মিছিল পণ্ড

খুলনায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) বিকাল ৫টায় শহরের পিকচার প্যালেস মোড়ে নিত্যপণ্যসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম গণতান্ত্রিক জোট ঘোষিত আগামী ২৮ মার্চ সারা দেশে অর্ধদিবস হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। 

মিছিলের শুরুতেই ৩৫-৪০ জন পুলিশ বাধা দেন। এতে নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। একপর্যায়ে মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। মিছিল করতে না পারলেও সিপিবির গলির ভেতর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংহতি আন্দোলনের খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল জানান, পুলিশি বাধায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের মিছিল পণ্ড হয়ে যায়। বিষয়টি বিব্রতকর ও লজ্জাজনক।

মিছিল করতে না পেরে গলির ভেতরে হওয়া সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা সমন্বয়ক ও সিপিবির মহানগর সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু। বক্তব্য দেন সিপিবির খুলনা জেলার সাধারণ সম্পাদক এস এ রশীদ, ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্ক্সবাদী) খুলনা জেলা সভাপতি মো. মোজাম্মেল হক খান, সাধারণ সম্পাদক গাজী নওশের আলী, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের খুলনা জেলা সম্পাদক ডা. সমরেশ রায়, গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা আহ্বায়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের খুলনা জেলা আহ্বায়ক জনার্ধন দত্ত নান্টু, সদস্য সচিব কোহিনুর আক্তার কণা, সিপিবি নেতা এইচ এম শাহাদাৎ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির সিন্ডিকেটে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়স্বজন জড়িত। ফলে সরকার এবং ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এ জন্য সরকার নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কঠোর হস্তে দমন করতেও পারছে না। এই সরকার সিলিন্ডার গ্যাসের দ্বিগুণ দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছে। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার চুরি-দুর্নীতি, লুটপাট, অর্থপাচারকে নীতি হিসেবে গ্রহণ করেছে। উন্নয়নের কথা বলে তারা তাদের দুর্নীতি ও লুটপাটকে আড়ালের চেষ্টা করছে। সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।