হাত-মুখ বেঁধে ২ বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় ঘরে ঢুকে দুই বোনকে হাত-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার ফুলতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (১৫ মে) রাতে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজন ১৩ বছর বয়সী স্কুলছাত্রী এবং অন্যজনের বয়স ২২ বছর। তারা সম্পর্কে খালাতো বোন। ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।

ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর মা বলেন, ‘শনিবার বিকালে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে সাত জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। ভোরে পালিয়ে গেলে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিক্যালে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড় মেয়ের শিশুসন্তানের গলায় ছুরি ধরে তারা। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড় মেয়ে ছেলে নিয়ে সেখানে গেছে। সেও খুব অসুস্থ।’

তিনি আরও বলেন, ‘রবিবার (১৫) রাতে দুই মেয়ে ও শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। সে সময় পুলিশও হাসপাতালে আসে।’

বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুর রহমান বলেন, ‌‘ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে হাসপাতালে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’