ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে এক স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব ও পুলিশ।
গত বুধবার উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের নতুনবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মো. হুমায়ুন (৩০) ও মো. কাউসার মিয়া (২৪)। তারা একই উপজেলার বাসিন্দা ও নির্মাণশ্রমিক।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বরাত দিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়, স্থানীয় একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ালেখা করে মেয়েটি (১৩)। গত বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলে যায়। স্কুলের সামনে প্রতিবেশী চাচা মো. হুমায়ুনের বন্ধু মো. কাউসার মিয়ার সঙ্গে দেখা হয়। কাউসার এলাকাটিতে নিয়মিত যাতায়াত করায় মেয়েটি তার সঙ্গে কথা বলে। এ সময় ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তাকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় নিয়ে যায় কাউসার। পথে যুক্ত হয় হুমায়ুন। এরপর বাড়ি থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে উচাখিলা ইউনিয়নের নতুনবাজার এলাকার একটি দোকানঘরে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়। প্রতিবেশী চাচা হুমায়ুন মেয়েটিকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে ঘটনা কাউকে বললে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। এর মধ্যে ওই ছাত্রী শারীরিকভাবে অসুস্থ বোধ করলে ওই দিন বিকালে পরিবারের লোকজনের কাছে ঘটনার বিস্তারিত জানায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু মেয়েটির পরিবার মীমাংসায় রাজি হয়নি। শুক্রবার সন্ধ্যার পর কিশোরীর বাবা থানায় অভিযোগ দেন। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে হুমায়ুনকে আটক করে। অপর দিকে র্যাব-১৪ অভিযান চালিয়ে জাটিয়া এলাকা থেকে শনিবার সকালে কাউসার মিয়াকেও আটক করে। পরে র্যাব সদস্যরা কাউসারকে ঈশ্বরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে।
র্যাব-১৪-এর ময়মনসিংহের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সামসুজ্জামান বলেন, ‘স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত কাউসারকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, আজ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ মামলায় আটক দুজনকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।