অষ্টমবারের মতো ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার হিমসাগর

অষ্টমবারের মতো ইউরোপে যাচ্ছে সাতক্ষীরার সুস্বাদু আম হিমসাগর। ২০১৪ সালে সাতক্ষীরাকে ম্যাংগো ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে শুরু হওয়া এই আম রফতানি এখনও অব্যাহত রয়েছে। রফতানি তালিকায় যুক্ত হয়েছে হংকংসহ আরও কয়েকটি দেশ। তবে করোনার কারণে ২০২০ সালে আম রফতানি হয়নি।

বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে সাতক্ষীরার কলারোয়ার ইলিশপুরে জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির আনুষ্ঠানিকভাবে রফতানিযোগ্য বিষমুক্ত নিরাপদ আম পাড়ার কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা কৃষি অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলামসহ কৃষি কর্মকর্তারা। সাতক্ষীরা থেকে এই আম কিনে বিদেশে পাঠানো শুরু করেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান উত্তরণ সলিডারিডাড।

কলারোয়ার ইলিশপুরের আমবাগান মালিক মো. ডাবলু বলেন, আমের উৎপাদন এবার কম। তবে দাম কিছুটা বেশি পাওয়ায় ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো। প্রতি বছরই আমার বাগান থেকে বিদেশে আম পাঠানো হয়। আজ রফতানির জন্য ২০০ কেজি হিমসাগর আম দিয়েছি। প্রতি মণ ৩৫০০ টাকা বিক্রি করেছি। 

সফল প্রকল্প উত্তরণের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, জেলা কৃষি বিভাগ ২০১৪ সাল থেকে সাতক্ষীরার আম বিদেশে রফতানি করছে। আমরা ২০১৬ সাল থেকে শুরু করেছি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম বলেন, চলতি বছর সাতক্ষীরার ৫২ হাজার বাগানের চার হাজার ১১৫ একর জমিতে ১৩ হাজার কৃষক আম চাষ করেছেন। তাদের মধ্যে রফতানিযোগ্য আম উৎপাদনের জন্য আমরা ৫০০ চাষিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। কোনও প্রকার কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ফেরোমেন ফাঁদের মাধ্যমে পোকামাকড় দমন করে এবং বিশুদ্ধ পানি ব্যবহার করে এই আম উৎপাদন করায় তা অত্যন্ত নিরাপদ। এবছর সাতক্ষীরা জেলা থেকে ১০০ মেট্রিক টন আম বিদেশে রফতানির কথা রয়েছে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার। এর মধ্যে মাত্র ৩০ শতাংশ পাওয়া গেছে।

জেলা প্রশাসক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, সাতক্ষীরার আমের খ্যাতি ধরে রাখার জন্য এবারও বিষমুক্ত নিরাপদ আম দেশে ও বিদেশে বাজারজাত করা হচ্ছে। এই আমের কদর রয়েছে সারাবিশ্বে। আমরা এই সুনাম ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।