অপহরণের ৪ বছর পর লাশ উদ্ধার, তিন জনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ায় শহিদুল ইসলাম নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে অপহরণ, হত্যাসহ লাশ গুমের মামলায় তিন জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদেরকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

রবিবার (২২ মে) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার দহকুল নওয়াপাড়া গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ মেম্বর, একই এলাকার ওমর আলীর ছেলে মো. চান্নু ও মজিবর রহমানের ছেলে বক্কার ওরফে বক্কর। মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হাওয়ায় অপর তিন আসামি মাহাতার বিশ্বাস, শরকত বিশ্বাস ও মো. সেলিমকে খালাস দেন আদালত।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালের ৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় স্থানীয় সন্ত্রাসী বাহিনীর লোকজন সদর উপজেলার দহকুল নওয়াপাড়া গ্রামের ইনতাজ আলীর ছেলে মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম শহিদকে (৪২) বাড়ি থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। ঘটনার চার বছর পর ২০১০ সালে ১৯ মার্চ দহকুলা গ্রামের মসলেম উদ্দিনের পানবরজ সংলগ্ন পরিত্যক্ত কুয়ার মধ্য থেকে তার লাশের অংশবিশেষ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহত শহিদুলের পরিবার উদ্ধার করা কাপড়-চোপড় দেখে শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে কুষ্টিয়া মডেল থানায় অপহরণ, হত্যা ও লাশ গুমের মামলা করেন। ২০১৪ সালের ৭ মে দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামিসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশিট দেন তৎকালীন কুষ্টিয়া সদর থানার এসআই আব্দুর রাজ্জাক মিয়া।

কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী জানান, পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করে।