বাদাম বিক্রেতা সেজে হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার

স্ত্রীকে হত্যার পর দীর্ঘদিন পালিয়েছিলেন স্বামী। অন্যদিকেও পুলিশও আসামিকে ধরতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। অবশেষে বাদাম ও ইয়ারফোন বিক্রেতা সেজে আসামিকে ধরতে সফল হন পুলিশ সদস্যরা।

যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ কর্মকর্তা এসআই তাপস মন্ডল এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর যশোর শহরের পুরাতন কসবা এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন রহিমা বেগম। তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের আগের পক্ষের ছেলে হাসানুজ্জান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন (নম্বর- ৪০/১৬.১২.২১)। মামলায় আসামি করা হয় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী জাকির বিশ্বাসকে। 

এসআই তাপস আরও জানান, মামলার পর পুলিশ জাকিরকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালায়। হত্যাকাণ্ডের পর জাকির বেনাপোলের সাদিপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যান। কিছুদিন পর জাকির দেশে ফিরে মাজারে অবস্থান নেন। পরে ট্রেনে ফেরি করে বাদাম বিক্রি শুরু করেন। তাকে ধরতে এসআই তাপসও ফেরিওয়ালার ছদ্মবেশ ধারণ করেন। কখনও বাদাম আবার কখনও ইয়ারফোন বিক্রির কাজ করেন তিনি। তিন দিন আগে যশোর-রাজশাহীগামী ট্রেনে জাকিরকে পেয়েও ধরতে পারেননি এসআই তাপস। পরে রবিবার সন্ধ্যায় কোটচাঁদপুর স্টেশন থেকে জাকিরকে আটক করে যশোরে নিয়ে আসা হয়।

যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসবাদে জাকির জানিয়েছেন তিনি স্ত্রী রহিমাকে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতেন। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়।