হাসপাতালে যাওয়ার সড়ক বেহাল, রোগীদের চরম ভোগান্তি

খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাওয়ার একমাত্র সড়কের দৈর্ঘ্য ১৩০ গজ। কংক্রিটের তৈরি সংযোগ সড়কের অনেক জায়গা ভেঙে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু মেরামত না করায় হাসপাতালে আসা-যাওয়ার পথে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দেশ স্বাধীনের পরপরই ডুমুরিয়াবাসীর চিকিৎসাসেবার জন্য উপজেলা পরিষদ ভবন থেকে এক কিলোমিটর দক্ষিণ-পশ্চিমে গোলনা গ্রামের তিন একরের অধিক জমিতে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন গড়ে তোলা হয়। খুলনা-সাতক্ষীরা সড়ক থেকে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছাতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধের ১৩০ গজ (সড়কটি) ইটের সলিং করে দেওয়া হয়। 

২০০২ সালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির আধুনিকায়নের সময় ওই সংযোগ সড়কটিতে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়। কিন্তু তারপর ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে সড়কের অনেক স্থান ভেঙে গর্ত তৈরি হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিন রোগী ও কয়েক হাজার মানুষকে বাধ্য হয়ে ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ডুমুরিয়া হাসপাতাল এলাকার ইউপি সদস্য আবু বক্কার খান বলেন, উপজেলার চার লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা পাওয়ার একমাত্র স্থান ডুমুরিয়া হাসপাতাল। সেখানে যাতায়াতের একমাত্র সংযোগ সড়কটির অবস্থা বেহাল।

স্থানীয় ওষুধ ব্যবসায়ী শেখ মফিজুর রহমান বলেন, ‌হাসপাতালের এত উন্নয়ন হচ্ছে। কিন্তু এই সড়কের অবস্থা খারাপ। দেখার কেউ নেই।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. সুফিয়ান রোস্তম বলেন, সম্প্রতি হাসপাতালের আধুনিকায়ন হয়েছে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক আছে। কিন্তু ওই ভাঙা সংযোগ সড়কের কারণে রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বর্ষার আগে যদি সড়কটি মেরামত করা না হয় তাহলে মানুষের কষ্ট আরও বাড়বে।

ডুমুরিয়া উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ওই সড়কটি মেরামতের প্রস্তাব করা হয়েছে।

ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদ বলেন, যত দ্রুত সম্ভব ওই সড়কটি মেরামত করে দেবো।