খাবারে বিষ মিশিয়ে ৬ শিয়াল ছানাকে ‘হত্যা’

কুষ্টিয়ায় খাবারে বিষ মিশিয়ে ছয়টি শিয়াল ছানা হত্যার অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার রাতে থানাপাড়ার পলান বক্স রোডের ভূমি অফিসের পাশ থেকে মৃত শিয়ালগুলো উদ্ধার করা হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) শহরের থানাপাড়া এলাকার একটি বাগানে শিয়ালগুলো মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সহ-সভাপতি শাহাবউদ্দিন মিলন বলেন, ‌‘আমার ১৬ জোড়া শিয়াল এবার বাচ্চা দিয়েছে। বাচ্চাগুলোকে প্রশিক্ষণ দেওয়া চলছিল। ওদের নাম রাখা হয়েছে। মা-বাবার সঙ্গে আমার কাছে আসতে শুরু করেছিল। বাচ্চাগুলোর সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধন তৈরি হয়। প্রতি বছর এভাবে প্রতিটি বাচ্চাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বড় করা হয়। যেন কারও কোনও ক্ষতি না করে, কাউকে কামড় না দেয়।

তিনি আরও বলেন, ‘এই সমাজে কিছু মানুষ আছে যাদের মনে ভালোবাসা নেই। তাদেরই রোষানলে পড়ে শিয়ালের ছয়টি বাচ্চা মারা গেলো। খাবারে বিষ মিশিয়ে তাদের খেতে দিলো। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ও বিবিসিএফের সঙ্গে কথা বলেছি। এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করা হবে।’

বিবিসিএফ কুষ্টিয়া জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নাব্বির আল নাফিজ বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় খাবারে বিষ মিশিয়ে ছয়টি শিয়াল হত্যা করা হয়েছে। এভাবে প্রায় গোটা জেলায় শিয়াল ও মেছো বাঘসহ বিভিন্ন ধরনের বিপন্ন বন্যপ্রাণী হত্যা করা হচ্ছে। জীববৈচিত্র্য, বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধানকল্পে প্রণীত আইন রয়েছে। আইন প্রয়োগ করে বন্যপ্রাণী হত্যার শাস্তি দিলে মানুষ সচেতন হবে। তা না হলে এমন হত্যাকাণ্ডে পরিবেশ বিপর্যয়ের মুখে পড়বে।’

বন বিভাগের বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ সার্কেলের বন সংরক্ষক মোল্যা রেজাউল করিম বলেন, ‘বিবিসিএফ সহ-সভাপতি শিয়ালের বন্ধু শাহাবউদ্দিন মিলনের মাধ্যমে আমি জানতে পেরেছি, কুষ্টিয়ায় খাবারে বিষ মিশিয়ে ছয়টি শিয়াল হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’