শতাধিক কর্মীর জামানতের টাকা নিয়ে উধাও ‘জিসি ফাউন্ডেশন’

ঝিনাইদহে চাকরির সময় শতাধিক কর্মীর থেকে নেওয়া জামানতের টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে ‘জিসি ফাউন্ডেশন’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মকর্তারা। অফিস ফেলে পালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ূন কবির, লাপাত্তা সংস্থাটির অন্যান্য কর্মকর্তারাও। এদিকে বোনাস ও দুই মাসের বেতনের জন্য অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভুক্তভোগীরা জানান, গত ২৪ মে সদর উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে একটি ভাড়া বাসায় জিসি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়। এরপর থেকে শুরু হয় বিভিন্ন পর্যায়ে কর্মী নিয়োগ। এরিয়া ম্যানেজার, ম্যানেজার, হিসাবরক্ষক, মাঠ কর্মীসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়া হয় শতাধিক বেকার তরুণ-তরুণীকে। জামানত বাবদ তাদের থেকে নেওয়া হয় ৮ থেকে ২০ হাজার করে টাকা। নিয়োগ পাওয়াদের দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড। আশ্বাস দেওয়া হয় পদ অনুযায়ী ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত মাসিক বেতন দেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার সকালে গত দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়ার কথা ছিল জিসি ফাউন্ডেশনের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের। সকালে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে কর্মীরা এসে দেখেন অফিস ফাঁকা। পালিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হুমায়ূন কবির, পরিদর্শক আনিচুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। জামানত আর বেতন-বোনাসের জন্য সকাল থেকে বিকাল অবধি বসে থাকলেও খোঁজ মেলেনি প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মকর্তার।

জিসি ফাউন্ডেশনের ফাঁকা কার্যালয়ভুক্তভোগী সাবরিনা আক্তার শোভা বলেন, জিসি ফাউন্ডেশনে হিসাব রক্ষক পদে চাকরি নিতে আট হাজার টাকা জামানত দিতে হয়েছে। অনেক কষ্ট করে টাকা এনে দিয়েছি। প্রায় তিন মাস চাকরি করেছি, কোনও বেতন দেয়নি। আজ বেতন ও বোনাস দেওয়ার কথা ছিল। 

আরেক ভুক্তভোগী রুবেল হোসেন বলেন, চাকরি পেতে জামানত দেওয়া লাগবে, তাই সাত হাজার টাকা দিয়েছি। এক মাসের বেতনও পাইনি। উল্টো আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে জিসি ফাউন্ডেশনের এই প্রতারক চক্রকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

সমাজসেবা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল সামি বলেন, জিসি ফাউন্ডেশন নামে  এমন কোনও এনজিওর অনুমোদন দেওয়া হয়নি। যদি কেউ প্রতারণার শিকার হন, তারা আইনের আশ্রয় নিলে আমরা সহযোগিতা করবো।