শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা: অস্ত্র-বিস্ফোরক মামলায় আ.লীগ নেত্রীর সাক্ষ্য

২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সাতক্ষীরায় কলারোয়ায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে করা দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণের পঞ্চম দিনে আরও একজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। সোমবার (১ আগস্ট) সাতক্ষীরার স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মণ্ডলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়। আদালতের  কাঠগড়ায় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৪০ জন আসামি উপস্থিতি ছিলেন।

সাক্ষীদাতা হলেন— ঢাকা মহানগরীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারজানা জাহান সাথী। তিনি হামলার দিন শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী ছিলেন।

সাতক্ষীরা আদালত সূত্রে জানা গেছে, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের দুই মামলায় কারাগারে থাকা ৪০ আসামিকে সোমবার সকাল ১০টায় জেলা কারাগার থেকে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর কাঠগড়ায় হাজির করানো হয়। এ মামলায় ৯ আসামি পলাতক রয়েছেন। ১০টা ৩৫ মিনিটে মামলার কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ফারজানা জাহান সাথীকে সাক্ষী হিসেবে হাজির করানো হয়।

আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন— অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. কামরুজ্জামান ভুট্টো প্রমুখ। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন— সাতক্ষীরা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. আব্দুল বারি, অতিরিক্ত পিপি অ্যাড. ফাহিমুল হক কিসলু প্রমুখ।

অতিরিক্ত পিপি ফাহিমুল হক কিসলু জানান, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের মামলার প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী ফতেমা জাহান সাথী সাক্ষ্য দিয়েছেন। আগামী ১৪ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০০২ সালের ৩০ আগস্ট সকাল ১০টায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক মুক্তিযোদ্ধার ভুক্তভোগী স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে যশোরে ফিরে যাওয়ার পথে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা কলারোয়ায় দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস (সাতক্ষীরা-জ-০৪-০০২৯) রাস্তার ওপরে দাঁড় করে রেখে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। 
হামলায় আওয়ামী লীগের এক ডজন নেতাকর্মী আহত হন। এ ঘটনায় করা হামলা মামলায় ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি তালা-কলারোয়ার বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জন জনকে চার থেকে ১০ বছর মেয়াদে সাজা দেন সাতক্ষীরার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হুমায়ুন কবির। এ ছাড়া গত ১৪ জুন অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের অপর দুটি মামলায় চার্জ গঠন করা হয়।