নিম্নচাপের প্রভাবে ৪ ফুট জোয়ারে প্লাবিত উপকূলের নিম্নাঞ্চল

উড়িষ্যা উপকূলের লঘুচাপটি স্থল নিম্নচাপে রুপ নিয়ে ভারতের ছত্তিসগড় এলাকায় অবস্থান করছে। এটি সেখানে ক্রমেই দুর্বল হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে জানিয়েছেন মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী। বুধবার (১০ আগস্ট) তিনি এ তথ্য জানান।  

তিনি বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে মোংলাসহ উপকূলে ঝড়-বৃষ্টি বাড়বে। এ প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় অতিরিক্ত ২ থেকে ৪ ফুট পানিতে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হবে। তবে সংকেত বাড়ার  আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি। 

এদিকে নিম্নচাপের কারণে ভোর থেকেই মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ সাগর ও সুন্দরবন উপকূল জুড়ে ঝড়ো বাতাস ও বৃষ্টিপাত হচ্ছে। স্থল নিম্নচাপের প্রভাবে সাগর প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। এছাড়া সাগর পাড়ের দুবলার চরে ঝড় ও বৃষ্টি বইছে। বৈরি আবহাওয়ার কারণে দুবলার চরের আশপাশের নদী-খালে প্রায় পাঁচ শতাধিক জেলে আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীলিপ। 

তারা বলেন, সাগর ভয়াবহ উত্তাল হয়ে উঠেছে। এতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে আড়াই-তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে দুবলার চর এলাকায়। সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেদের বেশিরভাগ বনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। আবার অনেকেই তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি হওয়ার পরপরই জানমালের রক্ষায় নিজ নিজ এলাকার ঘাটে চলে গেছেন। 

নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরেছে সাগরে যাওয়া জেলে নৌকাএদিকে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, গতকালের তুলনায় আজ জোয়ারের পানি বেড়েছে সুন্দরবনে। দুই থেকে আড়াই ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে বনের বিভিন্ন এলাকা। করমজলের বনের ভেতর অংশ স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুটের বেশি জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

এদিকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি থাকলেও বন্দরের ফেয়ারওয়েবয়া, হিরণপয়েন্ট, হাড়বাড়ীয়া ও জেটিতে পণ্য বোঝাই-খালাস ও পরিবহনের কাজ স্বাভাবিক গতিতেই চলছে বলে জানিয়েছেন বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার। 

আবহাওয়া পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।