কয়রায় বাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত

খুলনার কয়রা উপজেলায় বাঁধ মেরামতের এক মাস অ‌তিবা‌হিত না হতেই জোয়ারের পানির চাপে আবারও ভেঙে গেছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে বাঁধ ভেঙে ৩ গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকাবাসীর দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি আটকাতে সক্ষম হন। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বাঁধটি মজবুত করতে ওই স্থানে তেমন কোনও কাজ না করায় আবারও ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

দক্ষিণ বেদকাশী স্বাধীন সমাজকল্যাণ যুব সংস্থার সভাপতি মো. আবু সাঈদ খান বলেন, ‌‘পাউবোর গাফিলতির কারণে এই রিংবাঁধ আবারও ভেঙেছে। দক্ষিণ বেদকাশীর চরামুখা এলাকায় ওয়াপদার ৫০ মিটার রিংবাঁধ শনিবার দুপুরের জোয়ারে ভেঙে যায়। এতে তিন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাঁধ না ভাঙলে পাউবোর ঘুম ভাঙে না।’

স্থানীয় বাসিন্দা সজিব হাসান বলেন, ‘জোয়ারে কপোতাক্ষ নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে বাধঁ ভেঙে লোকালয়ে প্রবেশ করছে।’

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি বলেন, ‘শনিবার দুপুরের দিকে জোয়ারের সময় আবারও বাঁধ ভেঙে ওই এলাকায় লবণ পানি ঢুকেছে। গতত ১৭ জুলাই ওয়াপদায় যে বেড়িবাঁধ ভেঙেছিল তার পাশ থেকেই এবার ভেঙেছে।’

দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল বলেন, ‘গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে রিং বাঁধ দুর্বল হয়ে পড়ে। এতে জোয়ারের চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। এলাকাবাসী পানি উন্নয়ন বোর্ডের দিকে না তাকিয়ে নিজেদের রক্ষার্থে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় পানি আটকাতে সক্ষম হয়েছেন।’

সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ তালুকদার বলেন, ‘রিং বাঁধ আবারও মাটি দিয়ে নির্মাণের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বলা হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ার কারণে বাঁধটি দুর্বল হয়ে পড়ে।’

উল্লেখ্য, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা গ্রামের কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ গত ১৭ জুলাই ভোরে ভাটার টানে ভেঙে যায়। পর দিন দুই হাজার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে সক্ষম হয়।