যেকোনও সংকট মোকাবিলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র যোগ্য নেত্রী: এমপি নাবিল

যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ বলেছেন, ‌‘যেকোনও সংকট মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই একমাত্র যোগ্য নেত্রী। রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে আমরা কিছুটা অর্থনৈতিক চাপ অনুভব করছি। প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া পদক্ষেপে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’

শুক্রবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে যশোর শহরের বকচর হুসতলা মোড়ে জাতীয় শোক দিবসের ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলোচনা সভা ও খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘যোগ্য পিতার যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতেই বাংলাদেশ নিরাপদ আছে। বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের দিকে। সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন, বিশেষ করে যুবলীগের নেতাকর্মী যারা আছেন, আপনারা সবাই একসঙ্গে কাজ করুন। আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও জয়যুক্ত করে দেশের উন্নয়নের যাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত দুই বছর করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সফলতা অর্জন করেছেন। দেশের প্রাপ্তবয়স্ক ৭০ শতাংশ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হয়ে গেছে। এখন শিশুদের টিকা দেওয়া হচ্ছে।’

MP-Nabil-2

এমপি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু যখন দেশকে একটি পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তখনই একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করতে তাকে হত্যা করে। ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত একের পর এক সামরিক জান্তা—জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ও খালেদা জিয়ার সরকার বাংলাদেশকে নব্য পাকিস্তানে পরিণত করে। সব জায়গা থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলে তারা। টেলিভিশন-রেডিও থেকে ৭ মার্চের ভাষণ নির্বাসিত হয়, বাংলার স্বাধীনতার কথা নির্বাসিত হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সৌভাগ্য যে ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা প্রাণে বেঁচে যান বিদেশে থাকায়। এরপর দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পরে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশে আবার মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকার প্রতিষ্ঠা করেন শেখ হাসিনা। ২০০১ সালে আন্তর্জাতিক চক্রান্তে তিনি ক্ষমতা থেকে চলে যান। ২০০৯ থেকে বর্তমান পর্যন্ত ১৩ বছর ক্ষমতায় আছেন পর পর তিন মেয়াদে। তিনি মানুষের জন্য সবসময় কাজ করে যাচ্ছেন।’

সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অশোক কুমার বোসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদি হাসান মিন্টু, কাজী আব্দুস সবুর হেলাল ফারুক আহমেদ কচি, সুখেন মজুমদার, রবি সিদ্দিকী, কামাল হোসেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, যুবলীগ নেতা মঈন উদ্দীন মিঠু প্রমুখ।