‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো?’

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের বোয়ালদাহ গ্রামের মেছোপাড়া গ্রামের নোমেছা বেগম, বয়স ৯৬ বছর। স্বামী মারা গেছেন কত বছর হলো  সঠিক হিসাব মনে নেই তার। আনুমান করে বলেন, ৩০ বছর আগে হবে হয়তো। স্বামী মারা যাওয়ার পর নোমেছা মানুষের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। কিন্তু বয়সের ভারে অনেক আগেই কর্মশক্তি হারিয়েছেন তিনি। তাই অনেকটা অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটে এই বৃদ্ধার। অথচ এখনও তার কপালে জোটেনি বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড। বেঁচে থাকার জন্য তিনি একটি কার্ড চান।

বৃদ্ধা নোমেছার প্রশ্ন ‘আর কত বয়স হলে বয়স্ক ভাতার কার্ড পাবো? খেয়ে পরে বেঁচে থাকার জন্য শুধু একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড চাই।’

হাটশ হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (বোর্ড অফিস) ও মেম্বারদের কাছে অনেকবার ধর্না দিয়েছেন একটি বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতার কার্ডের জন্য। কিন্তু পাননি তিনি। বরং ইউনিয়ন পরিষদের বারান্দা থেকে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

নব্বইঊর্ধ্বো এই বৃদ্ধা আক্ষেপ করে বলেন, ‘আগে আমি বোর্ড অফিসে গেছি। সেখান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এখন আমি অসুস্থ্, চলতে পারি না। আমার ছেলেকে বারবার বোর্ড অফিসে পাঠিয়েও কোনও কাজে হয়নি।’

এ ব্যাপারে স্থানীয়রা জানান, নোমেছার পাঁচ ছেলের মধ্যে এক ছেলে মারা গেছেন। দু’ছেলে প্রতিবন্ধী। তাদের ভাগ্যেও জোটেনি প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড। বয়স্ক ভাতা কিংবা বিধবা ভাতার কার্ড হলেও অন্তত কিছুটা চলতে পারত নোমেছা।

 

/এসটি/