বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার, স্বামী-শ্বশুর গ্রেফতার

মেহেরপুরের গাংনীতে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী নিশাত তাসনীম ঊর্মি নিহতের ঘটনায় স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত দুজন হলেন স্বামী আশিকুজ্জামান প্রিন্স ও শ্বশুর শফিউল ইসলাম হাশেম। ঊর্মির বাবা গোলাম কিবরিয়া বাদী হয়ে গাংনী থানায় হত্যা মামলা করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদিকে, ঊর্মি হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও তার সহপাঠীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় গাংনী শহরে মানববন্ধন করেছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের কাথুলি মোড় এলাকার শ্বশুরবাড়ি থেকে উর্মির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাই এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা পুলিশ সেটা তদন্ত করছে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। দুজনের বাড়ি একই এলাকায়। প্রিন্স কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। তাদের ঘরে ১৩ মাসের ছেলে সন্তান রয়েছে।

গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এখন ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে এটা হত্যা নাকি আত্মহত্যা সেটা পরিষ্কার হবে। শ্বশুর ও স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেওয়ার সময় ঊর্মির সহপাঠী ও গাংনীর চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জুবাইয়ের রহমান দাবি করেন, ঊর্মি সংস্কৃতিকমনা ও মুক্তচিন্তার মেয়ে ছিল। প্রেম করে বিয়ের পর তার মধ্যে পরিবর্তন ঘটে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। পরে পরিস্থিতি বেগতিক দেখে হয়তো জানালার সঙ্গে ফাঁসের নাটক সাজানো হয়েছে। স্বামী তার ওপর নির্যাতন করতো। এমন কথা ঊর্মির বিভিন্ন সময়ের কথোপকথনে ইঙ্গিত পাওয়া যেত। নির্যাতনের পরও স্বামীর মন জয় করতে সন্তান নিলো। তারপরও স্বামীর মন পেলো না। অবশেষে সেই শিশু সন্তানকে ফেলে দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে হলো। আমরা এটাকে হত্যা হিসাবে দাবি করছি। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের ফাঁসি দাবি করছি।