ঝিনাইদহ পৌরসভায় ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে

ঝিনাইদহ পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। রবিবার সকাল ৮টা থেকে সব কেন্দ্রে (৪৭টি) ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে কয়েকটি কেন্দ্রে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ভোট নিতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। ফলে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।

ভোটগ্রহণে নিয়োজিত কর্মকর্তারা বলছেন, এটা সাময়িক সমস্যা। টেকনিশিয়ানরা আছেন। তারা বিষয়টি দেখছেন। 

সকাল ৯টার দিকে পৌরসভার পবহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায়, ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। এই কেন্দ্রে ইভিএমে যান্ত্রিক সমস্যা হওয়ায় ভোট নিতে বিড়ম্বনা পড়েন ভোটার ও ভোট সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। 

লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা আবুল বাশার নামে এক ভোটার বলেন, ‌‘ভোট দিতে সকাল ৮টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু যান্ত্রিক সমস্যার কারণে দেড় ঘণ্টা পরও ভোট দিতে পারিনি। আমি কাজের মানুষ। ভোট দিয়ে কাজে যাবো। কিন্তু গরমে এই লাইনে প্রায় দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছি।’

ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার শাহজাহান আলী জানান, ইভিএমে সামান্য সমস্যা ছিল। এখন ঠিক হয়ে গেছে। আবার ভোটগ্রহণ চলছে।

শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিন আক্তার জানান, ভোটাররা বিষয়টি নিয়ে অনভিজ্ঞ হওয়ায় কিছু সমস্যা হচ্ছে। তবে ঠিক হয়ে গেছে। ভোটগ্রহণ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হবে।
 
জানা গেছে, নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। মেয়র পদে চারজন প্রার্থী রয়েছেন। তারা হলেন—নৌকা প্রতীকে আব্দুল খালেক, নারিকেল গাছ প্রতীকে মো. কাইয়ুম শাহরিয়ার জাহেদী, মোবাইল ফোন প্রতীকে মো. মিজানুর রহমান ও হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম। 

সাধারণ আসনে ৭১ জন কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনে ২০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ভোটার ৮২ হাজার ৬৯৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৪০ হাজার ৪৪৬ জন ও নারী ভোটার ৪২ হাজার ২৪৯ জন। ভোট গ্রহণের জন্য ৪৭ কেন্দ্র ও ২৬৫টি বুথ প্রস্তুত করা হয়েছে।

এবারই প্রথম পৌর এলাকার ৪৭ কেন্দ্রে  ৪৭ জন নির্বাচন কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৫ প্লাটুন বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ভোটের দুই দিন আগে থেকেই দায়িত্ব পালন করছেন।