বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে লেখা ‘এখানে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় না’

মাগুরা শহরের ভায়না মোড়েই ছিল জেলা বিএনপির কার্যালয়টি। যে ভবনে দলটির কার্যালয় সেখানে টানানো একটি সাইনবোর্ডে লেখা ‘এই ভবন থেকে এখন কোনও প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় না’।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বেশ কিছু দিন ধরে ওই ভবনে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। প্রশাসন ও আওয়ামী লীগ নেতাদের চাপে বাড়ির মালিক কার্যালয় তুলে দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় বাড়ির মালিক ভবনটি ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে এমন সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে  জানা গেছে, ভায়না এলাকার জনৈক নুরুজ্জামান বাবুর তিন তলা ভবনের নিচতলা হাসান ইমাম সুজার পরিবার প্রথমে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ভাড়া নেয়। এটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচালিত হতো। এক বছর ধরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খান হাসান ইমাম সুজার রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হতে থাকে। বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখানে যাতায়াত করায় এটি বিএনপির অস্থায়ী রাজনৈতিক কার্যালয় হিসেবে পরিচিতি পেতে থাকে। তবে এখানে কোনও সাইনবোর্ড ছিল না।

২৭ আগস্ট দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী এখানে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়। একই সময়ে এই এলাকায় শোক দিবসের মিছিল নিয়ে অতিক্রম করছিল জেলা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় উত্তেজনার একপর্যায়ে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।

পরে ভবন মালিক নুরুজ্জামান ‘এই ভবনে কোনও প্রকার রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয় না’ এমন সাইনবোর্ড টানিয়ে নিচতলার যে কক্ষটি হাসান ইমাম সুজা ব্যবহার করতেন সেটি ছাড়িয়ে নেন।

হাসান ইমাম সুজা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের চাপে মালিক এটি ছাড়িয়ে নিয়েছে।’

তবে ভবন মালিক নুরুজ্জামান বলেন, ‘সহিংসতার ঝুঁকির কারণে এটি ছাড়িয়ে নিয়েছি। কারণ এখানে আরও অনেক ভাড়াটিয়া আছে। ঝুঁকির মধ্যে পড়তে কে চায়।’

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পঙ্কজ কুমার কুন্ডু বলেন, ‘কোনও চাপের বিষয় নয়। এটি ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়ার ব্যক্তিগত বিষয়। কোথায় কে কার্যালয় বানাবে সেটি যার যার বিষয়।’

চাপের বিষয়টি অস্বীকার করে একই ধরনের মন্তব্য করেছেন মাগুরা সদর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রসঙ্গত, মাগুরা শহরের ইসলামপুর পাড়া এলাকায় জেলা বিএনপির অপর যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান হাবিব কিশোরের নিকটাত্মীয়ের একটি একতলা ভবন দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।