বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ‘নিখোঁজ’

বেনাপোল চেকপোস্ট থেকে বিভূতি মোহন সরকার (৫৩) নামে এক অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার। ঘটনার এক দিন পার হয়ে গেলেও তার খোঁজ মেলেনি উল্লেখ করে পরিবার বলছে, এই শিক্ষক প্যারালাইসিসে ভুগছিলেন, তার মানসিক ভারসাম্যও ঠিক ছিল না।

শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে পাসপোর্ট যোগে ভারতে যাওয়ার সময় বেনাপোল চেকপোস্ট এলাকা থেকে তিনি ‘নিখোঁজ’ হন। এ সময় সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে পায়নি। 

বিভূতি মোহন সরকার মাগুরা সদর থানার নান্দুয়ালী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত নবকুমার সরকারের ছেলে। (তার পাসপোর্ট নম্বর ইজে-০০৬৩৪৭৮)। ‘নিখোঁজ’ হওয়ার সময় তার পরনে ছিল সাদা হাফ শার্ট, কালো ফুল প্যান্ট এবং হাতে একটি লাঠি ছিল।

বিভূতি মোহন সরকারের স্ত্রী ববিতা রানী বিশ্বাস জানান, শুক্রবার বিকালে তার স্বামীকে নিয়ে ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোলে আসেন। দুই জনই বাংলাদেশ ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম শেষ করে ভারতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি তার অসুস্থ্য স্বামীকে এক জায়গায় বসিয়ে রেখে করোনা পরীক্ষার ভ্যাকসিনের কাগজ দেখাতে যান। কিছুক্ষণ পরে এসে সে তার স্বামীকে আর খুঁজে পাননি।

অনেক খোঁজাখুজির পরও তাকে না পেয়ে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরা চেক করে দেখেন তার স্বামী পেট্রাপোল চেকপোস্ট দিয়ে তিনি আবার বাংলাদেশের দিকে চলে এসেছেন। তিনি (ববিতা) সন্ধ্যায় দেশে ফিরে এসে অনেক খোঁজাখুজির পরও তার স্বামীকে না পেয়ে নিকট আত্মীয়দের খবর দেন। তাদের সহযোগিতায় বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে গিয়ে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেক করে দেখা যায় নিখোঁজ বিভূতি মোহন সরকার বাংলাদেশে ফিরে এসেছেন। তাকে কোথাও দেখা গেলে ০১৭১৫-৬৪৭৪২১ এবং ০১৮৬৬-৩৬৪৫২১ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, একজন পাসপোর্ট যাত্রী নিখোঁজের ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় জানানো হয়েছে। তাকে খুঁজে বের করতে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে।