রোগীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই, হাসপাতাল মালিক কারাগারে

অস্ত্রোপচারের সময় নারীর পেটে কাঁচি রেখে সেলাই করায় মেহেরপুরের গাংনী শহরের রাজা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রবিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আসামি জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তারিক হাসান নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নিদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাংনীর রাজা ক্লিনিকে ২০০২ সালে পিত্তথলির পাথর অপারেশন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নওদা হাপানিয়া গ্রামের আব্দুল হামিদের স্ত্রী বাচেনা খাতুন। এর ২০ বছর পর রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের নিউরোমেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রেজা নাসিমের কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তার পরামর্শে এক্স-রে করানো হয়। এক্স-রে রিপোর্টে পেটে ৪/৫ ইঞ্চির একটি কাঁচি পাওয়া যায়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়।

জানা গেছে, ২০ বছর আগে ওই নারী রাজা ক্লিনিকের মালিক ডা. পারভিয়াস হোসেন রাজার শরণাপন্ন হলে তিনি বাচেনা খাতুনকে পিত্তথলির পাথর অপারেশনের পরামর্শ দেন। ওষুধপত্র ও অপারেশন ফি বাবদ ২০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন। সে সময় কাঁচি রেখে সেলাই করে দেন। পরে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে দীর্ঘ ২০ বছর পর রোগীর পেটে থেকে অপারেশনের মাধ্যমে কাঁচি বের করা হয়। এই ঘটনায় রোগী বাচেনা খাতুন নিজে বাদী মেহেরপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রাজা ক্লিনেকর মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘটনার পর আসামি পারভিয়াস হোসেন রাজা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন। বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ইব্রাহিম শাহিন বলেন, আমরা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন চেয়েছিলাম। বিচারক জামিন দেননি। আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আমরা এই মামলায় উচ্চ আদালতে আপিল করবো।