মোংলা বন্দরকে গোঁয়ার্তুমি থেকে সরে আসতে হবে: সুলতানা কামাল

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সভাপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘খুলনার দাকোপ উপজেলার বাণীশান্তার ৩০০ একর তিন ফসলি উর্বর কৃষি জমিতে মোংলা বন্দরের পশুর নদীর ড্রেজিংয়ের বালু ফেলে ধ্বংস করা যাবে না। কৃষি জমি ধ্বংস করে কোনও উন্নয়ন করা যাবে না- প্রধানমন্ত্রীর এই অনুশাসন মোংলা বন্দরকেও মেনে চলতে হবে। বিকল্প জায়গা থাকা সত্ত্বেও কৃষি জমিতে বালু ফেলার গোঁয়ার্তুমি করা থেকে মোংলা বন্দরকে সরে আসতে হবে।’

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে বাণীশান্তা বাজারে আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির আয়োজনে এই জনসভা হয়। জনসভার আগে প্রধান অতিথি সুলতানা কামাল বাণীশান্তা-ভোজনখালি বিলের আমন ধানের ক্ষেত সরেজমিন পরিদর্শন করেন।

সভায় প্রধান বক্তা বাপার সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, ‘মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ আন্দোলনকারীদের নানা ধরনের ভয়ভীতি, হামলা-মামলা ও নির্যাতনের হুমকি দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন উপেক্ষা করে বন্দর কর্তৃপক্ষ যদি কৃষিজমি রক্ষা আন্দোলনকারীদের ওপর কোনও ধরনের হামলা-মামলা চালালে সারা বাংলাদেশের মানুষ গর্জে উঠবে।’

সভাপতির বক্তব্যে বাণীশান্তা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুদেব কুমার রায় বলেন, ‘দাকোপ উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ কৃষিজমি রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ। আমরা জীবন দেবো তবুও আমাদের কৃষিজমিতে মোংলা বন্দরকে বালু ফেলতে দেবো না।’

সভায় সভাপতিত্ব করেন বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা হিরন্ময় রায়। সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দাকোপ-বটিয়াঘাটার সাবেক এমপি ননী গোপাল মন্ডল, বাপার কেন্দ্রীয় নেতা মো. নূর আলম শেখ, আব্দুল করিম কিম, তোফাজ্জেল সোহেল, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ক্রীড়া সংগঠক মোর্তজা রশিদী দারা, দাকোপ উপজেলা চেয়ারম্যান খান মুনসুর আলী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গৌরপদ বাছাড়, বাণীশান্তা কৃষিজমি রক্ষা সংগ্রাম কমিটির নেতা সঞ্জিব মন্ডল, বিশ্বজিৎ মন্ডল, সত্যজিৎ গাইন, ইসরাফিল বয়াতি, কৃষ্ণ পদ মন্ডল, ইউপি সদস্য পাপিয়া মিস্ত্রি, কৃষাণী বৈশাখী মন্ডল প্রমুখ।