এক টন সরকারি চালসহ ধরা খাওয়ার পর বললেন, ‘কিনে নিয়েছি’

বাগেরহাটের শরণখোলায় আরাফাত স্টোর নামে একটি দোকান থেকে এক মেট্রিক টন সরকারি চালসহ গ্রাম পুলিশ ও এক ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার আমড়াগাছিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তবে আটকদের দাবি, ইউনিয়ন পরিষদের উপকারভোগীদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাল কিনে মজুত করেছেন তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর ই আলম সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের আমড়াগাছিয়া বাজারে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আরাফাত স্টোরে অভিযান পরিচালনা করে ২০ বস্তায় এক মেট্রিকটন চাল জব্দ করা হয়। জব্দ করা চাল মজুত করার অভিযোগে ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন ও আরাফাত স্টোরের মালিক কামাল হোসেনকে আটক করা হয়।

ইউএনও বলেন, আরাফাত স্টোরের মালিক কামাল হোসেন ওই চাল গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপনের কাছ থেকে কিনেছেন বলে স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা শেখ সিরাজুল হক বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় মামলা করবেন।

অভিযুক্ত গ্রাম পুলিশ নজরুল ইসলাম স্বপন দাবি করেন, তিনি বিভিন্ন সময় জেলে, ভিজিএফ, ভিজিডিসহ বিভিন্ন উপকারভোগীদের কাছ থেকে অল্প অল্প করে চাল কিনে মজুত করে আরাফাত স্টোরের মালিকের কাছে বিক্রি করেছেন। উপকারভোগীদের কাছ থেকে চাল কিনে তিনি ছাড়া আরও অনেকে এই ব্যবসা করে থাকেন বলে জানান।

ধানসাগর ইউপি চেয়ারম্যান মাইনুল ইসলাম টিপু বলেন, উপকারভোগীদের চাল দেওয়ার পরে তারা অনেক সময় স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করে দেন। গ্রাম পুলিশ সেভাবেই হয়তো চাল কিনে মজুত করে ওই দোকানে বিক্রি করেছেন। এখানে পরিষদের কোনও সংযোগ নেই।