মোংলায় ৬০০ টন পাথর নিয়ে ডুবে গেছে ফিটনেসবিহীন জাহাজ

বাগেরহাটের মোংলা বন্দ‌রের হাড়বা‌ড়িয়া এলাকায় ৬০০ টন পাথর নি‌য়ে ‘এমভি মাস্টার দিদার’ না‌মের এক‌টি লাইটার জাহাজ ডু‌বে গেছে। বুধবার (২৪ নভেম্বর) দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় এই ঘটনা ঘটে।

বন্দরের হারবার মাস্টার ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহীন মজিদ জানান, ডু‌বে যাওয়া লাইটার‌ জাহাজ‌টির ফিট‌নেস ছিল না। এছাড়া এর সা‌র্ভে সনদও মেয়াদোত্তীর্ণ ছিল।

তিনি আরও জানান, পাথর নিয়ে ডুবে যাওয়া জাহাজের মালিক দেলোয়ার হোসেনকে ডাকা হয়েছে। দ্রুত এটি উত্তোলনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ নিয়ে কীভাবে পণ্য পরিবহন করছে, তারও ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তবে হারবাড়িয়া এলাকায় পাথর নিয়ে জাহাজ ডুবলেও মোংলা বন্দরের মূল চ্যানেল নিরাপদ রয়েছে।

জানা গেছে, মোংলা বন্দরের ৬ নন্বর মুরিং বয়ায় অবস্থানরত একটি বিদেশি জাহাজ থেকে পাথর বোঝাই করে ‘এমভি মাস্টার দিদার’ নামের জাহাজটি নওয়াপাড়ার উদ্দেশ্য ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে পশুর নদীর হারবাড়িয়া এলাকায় অন্য একটি লাইটারেজ জাহাজের সাথে ধাক্কা লেগে তলাফেটে ডুবে যায়। তবে এ সময় ওই জাহাজে থাকা ১০ জন স্টাফ লাফ দিয়ে প্রাণে বেঁচে যান।

খুলনা নৌপরিবহন অধিদফতরের পরিদর্শক রাশেদুল আলম বলেন, ‌‘আমাদের কাজ রেজিস্ট্রেন দেওয়া। ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ যেসব নৌযান নদীতে চলাচল করবে তা দেখার দায়িত্ব বন্দর কর্তৃপক্ষের, বিআইডব্লিউটিএ এবং নৌ পুলিশের। সবার দায়িত্বে অবহেলা ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘পাথর নিয়ে যে জাহাজটি ডুবেছে, সেই জাহাজ ফিটনেসবিহীন ও মেয়াদোত্তীর্ণ সার্ভে সনদ থাকায় গত মাসে মেরিন কোর্টে মামলা দিয়েছি। এখনও শুনানি হয়নি। এটি এখনও পণ্য পরিবহন করে পাথর নিয়ে ডুবছে। তদন্ত কমিটি গঠন করে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’