কাভার্ডভ্যান চাপায় ৫ জন নিহত, সেই চালক ও সহকারী গ্রেফতার

যশোরের মণিরামপুরে কাভার্ডভ্যান চাপায় পাঁচ জন নিহতের ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক ও তার সহকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে মণিরামপুর থানা পুলিশ তাদের ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে।

কাভার্ডভ্যান চালকের নাম আলমগীর হোসেন (২৩) এবং সহকারীর নাম আনোয়ার হোসেন (১৯)। আলমগীর হোসেন নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শামসুল হকের ছেলে এবং আনোয়ার হোসেন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সন্ধ্যাকুরা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।

এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যানটি মণিরামপুর উপজেলার বেগারীতলা বাজারের একটি হোটেলে ঢুকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলেসহ পাঁচ জন নিহত হন।

পুলিশ জানায়, এ ঘটনার পর শুক্রবার রাতে দুর্ঘটনায় নিহত হাবিবুর রহমানের ভাই ইব্রাহিম খলিল মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে চালক আলমগীর হোসেন এবং তার সহকারী আনোয়ার হোসেনের অবস্থান শনাক্ত করে। মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে নান্দাইল উপজেলা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিকালে তাদের থানায় আনা হয়। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাবাবাদ করা হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, হঠাৎ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাভার্ডভ্যানটি মহাসড়কের পাশ দিয়ে হোটেলের মধ্যে ঢুকে যায়।

মণিরামপুর থানার ওসি শেখ মো. মনিরুজ্জামান দুজনকে আটকের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বুধবার তাদের আদালতে নেওয়া হবে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার যশোর থেকে সাতক্ষীরাগামী একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেগারীতলা বাজারে মহাসড়কের পাশে খাবার হোটেলে ঢুকে পড়ে। এ সময় নাশতা সেরে চা পান করতে দোকানের খাটে বসেছিলেন টুনিয়াঘরা গ্রামের শামসুর রহমান মীর, তার নাতি তৌহিদুল ইসলাম ও জয়পুর গ্রামের জিয়ারুল ইসলাম। এই তিন জনই ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। একই সময়ে টুনিয়াঘরা গ্রামের হাবিবুর রহমান ও তার ছয় বছরের ছেলে তাওহিদ হাবিব কাভার্ডভ্যান চাপায় মারা যান।