শিক্ষার্থীদের স্যালুট নিয়ে কম্বল বিতরণ, সমালোচনার ঝড়

মেহেরপুরে একটি বিদ্যালয়ে স্যালুট দেওয়ার বিনিময়ে শিক্ষার্থীর মাঝে কম্বল বিতরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত বুধবার (১১ জানুয়ারি) মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ও কলেজে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানির পর থেকে এলাকায় সমালোচনা চলছে।

মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের গালর্স গাইডের কয়েকজন ছাত্রী জানান, তাদের জানানো হয়, বুধবার বিকালে একজন ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ কম্বল দিতে আসবেন। সেটা নেওয়ার জন্য দ্রুত বিদ্যালয়ে যেতে হবে। ২০-২৫ জন শিক্ষার্থী ওই দলে ছিল। সেখানে নিলুফা ইসমিন রুপা নামে ওই ‘গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’কে স্যালুট দিতে বলা হয়। এরপর প্রত্যেককে একটি করে কম্বল দেন রুপা।

মেহেরপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজের অধ্যক্ষ আকতারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি স্কুল ছুটির পরে গালর্স গাইডের উদ্যোগে হয়েছে। এ বিষয়ে আমি জানতাম না। পরে ফেসবুক লাইভে বিষয়টি দেখি। ভবিষ্যতে তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলেছি। বিদ্যালয়ে গার্লস গাইডদের কম্বল দেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। কেউ কম্বল দেওয়ার জন্য বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেয়নি।’

মেহেরপুর-১

মেহেরপুর স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক শরিফ উদ্দিন বলেন, ‘গার্ড আব অনার বা স্যালুট যাকে তাকে দেওয়া যায় না। এর জন্য আইনগত কিছু বিধিবিধান আছে। এটা রাষ্ট্রের অবমাননা। যারা এটা করেছে তারা আমাদের গালর্স গাইডের কেউ নয়। তাদের গায়ে স্কুলের পোশাক ছিল।’

এ বিষয়ে নিলুফা ইয়াসমিন রুপা মুঠোফোনে বলেন, ‘কোনও গার্ড অব অনার নয়, তারা আমাকে প্যারেড করতে করতে নিয়ে গিয়েছে। প্যারেডে সালাম দিয়েছে। আমি ভালো কাজ করেছি, তাতে সমস্যা কী?’

তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতির বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি কোনও উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেন।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম জানান, বেসরকারি কাউকে ‘গার্ড অব অনার’ বা এরকম স্যালুট দেওয়া যায় না। তারপরও যাকে নিয়ে বিতর্ক আছে তাকে স্যালুট দেওয়া উচিত নয়। এ ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়ে বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।