সাপ্তাহিক ও শবে মেরাজসহ টানা তিনদিনের ছুটিতে সুন্দরবনের করমজলে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে। শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) থেকেই ভিড় বাড়তে থাকে। আগত পর্যটকরা ট্রলার ও লঞ্চযোগে বনের নানা প্রান্তে যাচ্ছেন। উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
পর্যটকদের ভিড় সামলাতে বনরক্ষীদের রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। রবিবার শবে মেরাজে এই চাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা করছেন করমজল পর্যটন কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
করমজল পর্যটন স্পটে শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) কথা হয় সুন্দরবনে ঘুরতে আসা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী অনির্বাণ মহলদারের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতা খুবই চমৎকার। শুধু বই পড়ে কিংবা ভিডিওতে দেখে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপলব্ধি করা যায় না। আমরা এখানে না আসলে বুঝতেই পারতাম না সুন্দরবন আসলেই এত সুন্দর। পরতে পরতে বৈচিত্র্য আমাদেরক হাতছানি দিয়েছে সারাক্ষণ। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি তিন দিন এখানে থেকে আরও ভালভাবে সুন্দরবনকে দেখব। অনেক কিছু শেখার আছে এখান থেকে।’
মুন্সীগঞ্জ থেকে করমজলে বেড়াতে এসেছেন একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা পান্না বেগম। তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়াতে আমরা পরিবারের সবাই মিলে সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য অল্প সময়ে আসতে পেরেছি। আসতে সময় লেগেছে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টা। সাপ্তাহিক ছুটির পাশাপাশি সবে মেরাজের ছুটি পেয়ে বেরিয়ে পড়েছি।’
যশোর থেকে সুন্দরবনে বেড়াতে আসা কয়েকজন স্কুল শিক্ষার্থী জানায়, ওয়াচ টাওয়ারে উঠে তারা অনেক দূর পর্যন্ত সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করেছ। বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তারা খুবই আনন্দ পেয়েছে।
করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘সাপ্তাহিক ও শবে মেরাজের টানা ছুটিতে করমজলে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। ছুটির প্রথমদিনে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রায় তিন হাজার পর্যটক এসেছেন এখানে। পদ্মা সেতু চালুর পর থেকে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।’
তিনি বলেন, ‘আগামীকাল শবে মেরাজের ছুটিতে পর্যটকদের চাপ আরনও বাড়বে। টানা ছুটির এই তিনদিনে অন্যান্য দিনগুলোর থেকে অনেক বেশি রাজস্ব আয় হবে। করমজল ছাড়া সুন্দরবনের অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রগুলোতেও পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে।’
ট্যুর অপারেটর ব্যবসায়ী গোলাম রহমান বিটু বলেন, ‘টানা তিনদিনের ছুটির প্রথমদিন শুক্রবার সকাল থেকে ১৫০টির বেশি ট্রলার ও লঞ্চ সুন্দরবনের ভেতরে প্রবেশ করেছে। এসব নৌযানে তিন হাজারের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন।’