বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর দুই সদস্যকে আটক করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন সদর দফতরের (মোংলা) কর্মকর্তা কমান্ডার সঞ্জীব কুমার দে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার বিকাল ৫টায় কোস্টগার্ড সদস্যরা সুন্দরবনের শিবসা নদীসংলগ্ন আদাছগী এলাকায় বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর আস্তানায় অভিযান চালায়।
এ সময় অভিযানকারীরা ঘটনাস্থল থেকে ২টি একনলা বন্দুক, ১টি শটগান, ১টি খেলনা বন্দুক, অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি, ২৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২০৪ রাউন্ড ফাঁকা কার্তুজ, ৯টি দেশীয় অস্ত্র, ৪টি কুড়াল, ৭টি করাত, ১০টি রড, ৫টি হাতুড়ি, ১টি সোলার, ২৮টি মোবাইল, ১১টি ওয়াকি টকি চার্জার ও ২টি কাঠের নৌকা জব্দ করা হয়। আর হাতেনাতে আটক করা হয় সুন্দরবনের দুর্ধর্ষ বনদস্যু করিম শরীফ বাহিনীর অন্যতম দুই সদস্য মো. সাদ্দাম খান (২০) ও আব্বাস মোল্লাকে (৪০)। আটক এ দুই দস্যুর বাড়ি বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা স্বীকার করে দীর্ঘদিন ধরে বনদস্যু করিম শরীফের সঙ্গে ডাকাতি ও ডাকাত দলকে অস্ত্র, গোলাবারুদ ও রসদ সরবরাহ করে সহযোগিতা করে আসছিল।
কোস্টগার্ড কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার দে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের সাঁড়াশি অভিযানের ফলে সুন্দরবন অঞ্চল ধীরে ধীরে দস্যুমুক্ত হয়ে উঠছে। এই অভিযানের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার জেলে ও মাছ শিকারিরা এখন নির্বিঘ্নে এবং নিরাপদে তাদের জীবিকা নির্বাহ করতে পারছেন।’
এছাড়া কোস্টগার্ড আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে উপকূলীয় ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে ২৪ ঘণ্টাব্যাপী টহল কার্যক্রম এবং বিশেষ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যার ফলে এসব অঞ্চলের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেকাংশে উন্নত হয়েছে। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করতে কোস্টগার্ডের এই ধরনের অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।