মাছের ট্রাকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে গেলো সাড়ে ৪ কেজি সোনা

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে যাওয়া মাছের ট্রাক থেকে সাড়ে তিন কোটি টাকা মূল্যের চার কেজি ৬৬৭ গ্রাম ওজনের ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দর থেকে এসব সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ভারতীয় মুদ্রায় এর দাম দুই কোটি ৭৮ লাখ রুপি হলেও বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা।

এ ঘটনার পর আমদানি-রফতানিতে নজরদারি শুরু করছে প্রশাসন। পাচারকারীরা বৈধ পণ্যের অন্তরালে এসব অবৈধ কারবার শুরু করায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্কে আছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, বেনাপোল বন্দরে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে একের পর এক অনিয়ম ধরা পড়ছে।

বেনাপোল কাস্টমস কার্গো শাখা সূত্রে জানা গেছে, সাতক্ষীরার মোস্তফা অর্গানিক নামক একটি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান তিন টন তেলাপিয়া মাছ সাতক্ষীরা ড-১১-০০৪৭ নং ট্রাকের মাধ্যমে ভারতে রফতানি করে। যার বিল অব এন্ট্রি নং সি-১৯২৫১ তারিখ ১২/০৩/২০২৩। পণ্যের মূল্য সাত হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার। পণ্য চালানটি রফতানির জন্য ব্রাদার্স সিন্ডিকেট নামক সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বেনাপোল কাস্টমসে ডকুমেন্টস দাখিল করে। পণ্য চালানটি আমদানি করে ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার বাবা ইন্টারন্যাশনাল। পেট্রাপোল বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে ছিল রয়েস ইন্টারন্যাশনাল। মাছ থেকে ৪০টি সোনার বার উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশি মাছ বোঝাই ট্রাকটি নোম্যান্সল্যান্ডে পৌঁছালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভারতের কল্যাণী থেকে আসা ১৪৫ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সদস্যরা ট্রাকটি তাদের জিম্মায় নিয়ে নেন। পরে ট্রাক থেকে মাছের প্যাকেট নামিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে তেলাপিয়া মাছ থেকে ৪০টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন চার কেজি ৬৬৭ গ্রাম।

বিএসএফ সূত্রে জানা গেছে, সোনাসহ ট্রাক চালককে আটক করা হয়েছে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিএসএফ ক্যাম্পে নিয়ে গেছে। ওই পাচারকারীর নাম সুশঙ্কর দাস। তিনি বাংলাদেশের সাতক্ষীরার বাসিন্দা।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ট্রাকচালক জানিয়েছেন, তিনি ১৫ বছর ধরে ট্রাক চালাচ্ছেন। ট্রাকমালিক সফিকুল ইসলাম সাতক্ষীরার বাসিন্দা বলেও জানিয়েছেন। ওই মাছ কলকাতার বাবা ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি সংস্থাকে হস্তান্তরের করার কথা ছিল। অভিযুক্তকে সোনার বিস্কুট এবং ট্রাকসহ পেট্রাপোলের শুল্ক দফতরের হাতে তুলে দিয়েছে বিএসএফ। এ ঘটনায় পেট্রাপোল থানায় একটি মামলা হয়েছে।

এই বিষয়ে জানতে যশোর ৪৯ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আহমেদ হাসান জামিলের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি জানান এমন কিছু জানেন না বলে জানান।