৫ দাবিতে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

কুষ্টিয়ায় পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) শ্রমিকরা। সোমবার (২৮ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টা থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কারখানার সব কার্যক্রম বন্ধ করে প্রতিটি গেটে তালা দিয়ে কারখানার মধ্যে অবস্থান করছেন ১৪৬ জন শ্রমিক।

শ্রমিকদের দাবিগুলো হলো—প্রতি বছর নিয়োগপত্র দেওয়া বন্ধ করে এক নিয়োগপত্র দিতে হবে,  কোম্পানির লভ্যাংশের ৫ শতাংশ মুনাফা শ্রমিকদের দিতে হবে, প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা দিতে হবে, শ্রমিকদের ঝুঁকি-বিমা নিশ্চিত করতে হবে এবং শ্রমিকদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানিয়েছেন, ২০১২ সাল থেকে এসব দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে আসছেন তারা। এত বছরেও দাবি আদায় না হওয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি কর্মসূচি দিয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতি অব্যাহত রাখবেন। সেইসঙ্গে কারখানা খুলতে দেবেন না। 

আন্দোলনকারী শ্রমিক কাজী সামছুল হাসান বলেন, ‘এক বছরের জন্য অস্থায়ী ভিত্তিতে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে বিএটিবি। এক বছর পর কোম্পানির ইচ্ছেমতো আবারও নিয়োগপত্র দেয়, চাইলে নিয়োগ বাদ করে দেয়। এভাবে কাজ করছেন ১৪৬ শ্রমিক। তাদের স্থায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়নি। স্থায়ী নিয়োগের দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি।’

২০১২ সাল থেকে একই দাবি জানিয়ে আসছি উল্লেখ করে সামছুল হাসান আরও বলেন, ‘বছরের পর বছর পাঁচ দফা দাবি জানিয়ে এলেও নানা ধরনের টালবাহানা করে আসছেন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের কর্মকর্তারা। বিভিন্ন সময়ে আমাদের আশ্বাস দিলেও আজও দাবিগুলো মানেনি কোম্পানি।’

এ ব্যাপারে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) একজন মুখপাত্র বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় শ্রমিকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের বিষয়টি জেনেছি। যত দ্রুত সম্ভব, এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করছি।’

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, ‘শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। কোম্পানির দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি আমরা।’