কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব

কুষ্টিয়ার গ্রামাঞ্চলেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। উপজেলা শহরের হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী।

স্থানীয় মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘণ্টায় পাঁচ ডেঙ্গু রোগী এই এখানে ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বর্তমানে এই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মোট ৯ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এসব রোগীর বেশিরভাগই গ্রামাঞ্চলের মানুষ।

এ ছাড়াও চলতি সেপ্টেম্বরে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স শিশুসহ দুই ডেঙ্গু রোগী মারা গেছেন। এর মধ্যে ৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সাতারপাড়া গ্রামের মোকলেস উদ্দিনের মেয়ে তানহা (৬) ও ১৭ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা ধুবইল ইউনিয়নের ধুবইল গ্রামের মৃত মুনা খানের ছেলে সিরাজ খান (৬০) মারা যান।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পীযূষ কুমার সাহা বলেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থা উত্তরণে দরকার মানুষের সচেতনতা। বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন। ইতোমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত দুই জন মারা গেছেন। চলতি সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৪ দিনে শুধু মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬১ ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। 

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডাক্তার তাপস কুমার সরকার বলেন, রবিবার দুপুর পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ১৬ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়াও বর্তমানে হাসপাতালে মোট ৫০ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য ওষুধপত্রের তেমন সংকট নেই। তবে গত দুই দিনে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পেয়েছে। কুষ্টিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী অন্যান্য জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য আসছেন। 

শহর এবং গ্রামে থেকে প্রায় সমান ডেঙ্গু রোগী আসছেন জানিয়ে এই আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা জানান, অন্যান্য জেলা থেকে রোগী আসার কারণে ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দিতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছে।