নিখোঁজের এক মাস পর শিক্ষকের লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের এক মাস পর এসএম ময়মুর হোসেন (৬২) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় যশোর সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া বেলতলায় বিলের মধ্য থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

নিহতের পরিবারের দাবি, পাওনা টাকা আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। টাকার কারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে।

তবে পুলিশ বলছে, নিহতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তাকে কে বা কারা কীভাবে হত্যা করেছে, তা উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

নিহতের স্বজনরা জানায়, যশোর শহরের বকচর প্রাইমারি স্কুল এলাকার বাসিন্দা ময়মুর হোসেন বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরায় হাসান আলী বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তির কাছে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা পান। গত ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরে পাওনা টাকা আনতে হাসানের বাড়িতে যান। ওই দিন রাতে স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানান, রাতে হাসানের বাড়িতে থাকবেন। এরপর থেকেই তার ফোন বন্ধ হয়ে যায় এবং তিনি নিখোঁজ হন।

খোঁজ না পেয়ে ১৩ সেপ্টেম্বর হাসান আলীর বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। আজ সন্ধ্যার দিকে সদর উপজেলার পাঁচবাড়িয়া বেলতলায় বিলের মধ্য কয়েকজন মাছ ধরতে গিয়ে ময়মুরের লাশের সন্ধান পান। খবর পেয়ে পুলিশ অজ্ঞাত হিসেবে লাশটি উদ্ধার করে। এরপর তাকে নিজের স্বামী বলে শনাক্ত করেন ময়মুর হোসেনের স্ত্রী শিরিনা খাতুন।

তিনি বলেন, ‘অভিযুক্ত হাসান আলী বিশ্বাস ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ময়মুর হোসেনের কাছ থেকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার টাকা নেন। তবে চাকরি দিতে ব্যর্থ হন। নিখোঁজ হওয়ার পর অভিযোগ দিলে পুলিশ হাসান আলীকে আটক করে। আবার তাকে ছেড়েও দেয়।’

শিরিনা খাতুনের দাবি, টাকার কারণেই খুন হয়েছেন ময়মুর হোসেন। তিনি এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এ বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বলেন, ‘নিহতের শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন নেই। তাকে কে বা কারা কীভাবে হত্যা করেছে তা উদঘাটনে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।’

তিনি আরও বলেন, ‘হাসান আলীকে অভিযুক্ত করা হচ্ছিল। আগেই তাকে পুলিশ ও পিবিআই বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। কিন্তু তার কাছ থেকে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।’