দেশ ছেড়ে পালানোর ইতিহাস আ.লীগের নেই, বিএনপির আছে: হানিফ

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘২৮ অক্টোবর বিএনপি তাদের কর্মসূচি ও সমাবেশ করার জন্য সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীদের ডেকে নিয়ে যাচ্ছে, এতে সমস্যা নেই। সমাবেশের নামে কোনও নাশকতা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। দেশ ছেড়ে পালানোর ইতিহাস আওয়ামী লীগের নেই, বিএনপির আছে। বিএনপির শীর্ষ নেতা তারেক রহমান দেশের বাইরে পালিয়ে আছেন। যে নেতা মুচলেকা দিয়ে দূরে সরে থাকে বা পালিয়ে বেড়ায় তাদের মুখে আওয়ামী লীগের পালানোর কথা হাস্যকর ছাড়া কিছুই নয়।’

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে বৃক্ষরোপণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

জামায়াতের কর্মসূচির বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সরকার সহযোগিতা করবে। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে কোনও সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড করলে সরকার তা কঠোরভাবে দমন করবে।’ আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মাঠে আছে এবং নির্বাচন নিয়ে প্রতিদিন কর্মসূচি পালন করছেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

পশ্চিমাদের ইন্ধন বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ইন্ধন আছে সেটা গণমাধ্যমের মাধ্যমে জাতি জানতে পেরেছে। বিএনপির রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে দেশের রাষ্ট্রদূত এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়, সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করে। এতে কোনও সফলতা পাবে না। জনগণের সমর্থন যত দিন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের আছে তত দিন পর্যন্ত কোনও অপশক্তি কিছুই করতে পারবে না।’

২৮ অক্টোবরের সরকার পতনের কর্মসূচির বিষয়ে হানিফ বলেন, ‘বিএনপি এর আগে বহু আন্দোলন কর্মসূচি ও সমাবেশ করেছে। এতে তারা সফল হতে পারেনি। ভবিষ্যতে আর কোনও দিন পারবেও না। বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদেরকে উজ্জীবিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মিথ্যাচার ও ধোঁকাবাজি বক্তব্য দিয়ে থাকে। এটা তাদের স্বভাব। জনগণের সঙ্গে প্রতারণার পর এখন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গেও প্রতারণা করে ঢাকায় ডেকে নিয়ে যাচ্ছে। যার ফলাফল শূন্য।’

এ সময় কুষ্টিয়া শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজুসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।