মোংলা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদসংকেত, পণ্য ওঠানামা বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় এই সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাত নম্বর বিপদসংকেতের ফলে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দেশি-বিদেশি ১৫টি বাণিজ্যিক জাহাজে পণ্য ওঠানামার কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে নিজস্ব অ্যালার্ট নম্বর-৩।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী হারবার মাস্টার (অপারেশন) আমিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। বন্দরে অবস্থানরত মার্চেন্ট শিপকে মুভমেন্ট করতে নিষেধ করা হয়েছে। পণ্য নিয়ে অবস্থান করা সকল প্রকার লাইটার জাহাজকে নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া পণ্য খালাস শেষে বন্দর ত্যাগ করার কথা থাকলেও ঝড়ের কারণে যেতে পারেনি ভারতের পতাকাবাহী ‘এমভি জাগ রানী’ ও বাংলাদেশের পতাকাবাহী ‘এমভি জাহান ব্রাদার্স’ নামে দুটি জাহাজ।

ঘূর্ণিঝড় মিধিলি উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উপকূল থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। সন্ধ্যার মধ্যে এটি আঘাত হানবে বলে জানায় মোংলা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ হারুন অর রশিদ। তিনি বলেন, ‘মোংলাসহ উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল থেকে হালকা বাতাসসহ ভারী বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।’

মোংলা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দীপংকর দাশ বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ১৩০০ স্বেচ্ছাসেবক কর্মী। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এ ছাড়া সাত নম্বর বিপদসংকেত জারির পর অধিক ঝুঁকিতে থাকা পশুর নদীপাড়ের জয়মনিরঘোল, চিলা ও কানাইনগর এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছি।’