এসিল্যান্ড সেজে ব্যবসায়ীর কাছে কাউন্সিলরের চাঁদা দাবি

দীর্ঘদিন ধরে মোংলায় এসিল্যান্ডের নাম ভাঙিয়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হবে, এমন ভয় দেখিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে একটি প্রতারক চক্র। এ ঘটনায় মোংলা উপজেলার এসিল্যান্ড থানায় জিডিও করেছেন।

তবে আলোচিত বিষয় হলো চাঁদা দাবির ঘটনায় মোংলা পোর্ট পৌরসভার এক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের নাম আসায় শহরজুড়ে নানা সমালোচনার ঝড় বইছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসাত্মক কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে বিভিন্ন সময় ট্রলের শিকার হয়েছেন এই কাউন্সিলর।

সম্প্রতি মোংলা বাজারের এক মুদিদোকানির কাছে এসিল্যান্ড সেজে তার দোকানে অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হবে—এরকম ভয় দেখিয়ে ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন তিনি। এ ঘটনায় ভুয়া এসিল্যান্ড সাজা ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে পৌর মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জালাল স্টোরের মালিক মুদিদোকানি মো. মনিরুজ্জামান।

গত ২৬ নভেম্বরের ঘটনায় ২৭ নভেম্বর পৌর মেয়রের কাছে তিনি এই অভিযোগ করেন। দীর্ঘদিন ধামাচাপা থাকলেও পৌরসভা ও ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বিষয়টি বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) ফাঁস হয়।

এদিকে অভিযোগ পেয়েছেন স্বীকার করে পৌর মেয়র শেখ আব্দুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর বাহাদুর মিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মোংলা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমার নাম ভাঙিয়ে কিছুদিন ধরে একটি বড় প্রতারক চক্র বিভিন্ন কর্মকর্তার কাছে টাকা চাচ্ছেন। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি। এ ঘটনায় যে-ই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে অভিযুক্ত পৌর কাউন্সিলর মো. বাহাদুর মিয়া তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং যে ব্যবসায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন তাকে উদ্দেশ করে গালমন্দ করে ফোন কেটে দেন।