লাকড়ি তোলা নিয়ে বউ-শাশুড়ির ঝগড়া, মারধরে আহত যুবকের মৃত্যু

তুচ্ছ ঘটনায় ছোট ভাই, মা-বাবার মারধরে আহত রেজাউল ইসলাম ওরফে সাইমন (২৩) নামে এক যুবক মারা গেছেন। নিহত রেজাউল চৌগাছা উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বড়খানপুর ঢাকাপাড়া গ্রামের আয়তাল হকের ছেলে।

এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের বাবা আয়তাল হক (৫০) এবং মা সালেহা বেগমকে (৪৫) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে। এ ছাড়া ছোট ভাই ইসরাফিল (১৭) পলাতক রয়েছে।

সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৭টায় নিহতের নিজ বাড়িতে মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে বিকালে পাশের কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ভোররাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

নিহতের স্ত্রী সুমি খাতুন এবং রেজাউলের চাচা আয়নাল হক জানান, সোমবার সকাল ৭টার দিকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হলে খোলা জায়গা থেকে লাকড়ি (জ্বালানির জন্য গাছের ডালপালা) ভেজা থেকে রক্ষায় ঘরে তোলা নিয়ে নিহত রেজাউলের স্ত্রী সুমি খাতুন ও শাশুড়ি সালেহা বেগমের মধ্যে বাগবিতণ্ডা (ঝগড়া) হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একপর্যায়ে নিহত রেজাউল এবং তার আপন ছোট ভাই ইসরাফিল ওরফে মনির মধ্যে হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে ছোট ভাই ইসরাফিল, মা সালেহা বেগম ও বাবা আয়তাল হক একত্রে রেজাউলকে লাঠিপেটা করেন। এতে রেজাউল অসুস্থ হয়ে পড়লে বড়খানপুর বাজারের পল্লি চিকিৎসক আব্দুস সালামকে ডেকে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

পরে রেজাউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৫টার দিকে ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার ভোররাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বেলা ১১টায় মরদেহ কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছিল।

এদিকে, সংবাদ পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত রেজাউলের বাবা আয়তাল হক এবং কোটচাঁদপুর থানা পুলিশের মাধ্যমে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে রেজাউলের মা সালেহা বেগমকে হেফাজতে নেয়। অন্যদিকে, নিহতের ছোট ভাই ইসরাফিল পলাতক রয়েছে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে রয়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নিহতের বাবা ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’