ফরিদপুরের ভাঙ্গায় রাতের অন্ধকারে তিন জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত তিন জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় ইয়াছিন খালাসি (১৯) নামক এক তরুণের মৃত্যু হয়।
ইয়াছিন খালাসি ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর খালাসির ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (১০ মে) রাতে।
জানা যায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে থানমাত্তা গ্রামের খালের ব্রিজের ওপর বসে গল্প করছিল থানমাত্তা গ্রামের ইয়াসিন খালাসি, একই গ্রামের রায়হান শেখ (২৪) ও এলাকায় বেড়াতে আসা মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মাঝিকান্দা গ্রামের শাকিব মাতুব্বর (১৬)। এর মধ্যে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ৭-৮ জন তরুণ ও কিশোর ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে ইয়াছিনসহ তিনকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। তাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা দিয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় গুরুতর আহত অবস্থায় তিন জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার জন্য রওনা হয় রোগীর স্বজনরা। ঢাকা নেওয়ার সময় পথে ইয়াছিন খালাসির মৃত্যু হয়।
আজিমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাজাহান হাওলাদার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের থানমাত্তা গ্রামের দুই জনসহ তিন জনকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এর মধ্যে একজন মারা গেছে।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেন, ‘শনিবার রাতে তিন জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ইয়াছিন খালাসি নামক একজন শনিবার রাতেই মারা গেছে। পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’