জুলাই আন্দোলনে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নেতৃত্ব দেওয়া মো. দুর্জয় মিয়া এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শনিবার (১০ মে) ভোর ৪টায় ফেনীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, দুর্জয় মিয়া জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সম্মুখভাগে থেকে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আন্দোলন চলাকালে তার শরীরে পুলিশের ছোড়া অর্ধ-শতাধিক রাবার বুলেট এসে লাগে। দুর্জয় মিয়া কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার বঁধুনগর, শ্রীনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার পিতার নাম ইসমাইল মিয়া। তার গেজেট নম্বর ছিল-১০৬ এবং মেডিক্যাল কেস আইডি-২৬০৮।
দুর্জয়ের মৃত্যুর বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ইকরাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছুক্ষণ আগেই এই সংবাদটি শুনেছি। দুর্জয়ের অকাল মৃত্যু সত্যিই বেদনাদায়ক। আল্লাহ যেন তার পরিবারকে সবর করার তাওফিক দেন। আমরা সাংগঠনিকভাবে তার জানাজায় শরিক ও তার কবর জিয়ারতের উদ্যোগ নিয়েছি।’
নিহতের স্বজনরা জানান, ভৈরবে জুলাই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সম্মুখসারিতে ছিলেন দুর্জয়। গত ১৯ জুলাই ভৈরবে আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু অর্থাভাবে চিকিৎসা করতে পারেনি তার পরিবার। পরবর্তীতে জীবিকার তাগিদে দুর্জয় পেশা হিসেবে ট্রাকচালকের সহকারী হিসেবে কাজে যোগ দেন। শনিবার ভোরে ফেনীতে ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় তিনি মারা যান। শনিবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে।
দুর্জয়ের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।