সাবেক চেয়ারম্যানের ইটভাটায় গুলিবিদ্ধ হানিফ মারা গেছেন

যশোরে গুলিবিদ্ধ হানিফ (৪৯) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মধ্য রাতে তিনি মারা যান। তার লাশ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকালে যশোরে এনে জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলিম ও নিহতের স্ত্রী শিরিন এই তথ্য জানিয়েছেন।

বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাঘারপাড়া উপজেলার করিমপুরে এনআইবি ইটভাটায় হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন।

এই ভাটার মালিক আওয়ামী লীগ নেতা ও জামদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। ওই ঘটনার পর টুটুল গুলিবিদ্ধ হানিফকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পৌঁছে দিয়ে পালিয়ে যান। ওই রাতেই হানিফকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকাতে।

নিহতের স্ত্রী শিরিন জানিয়েছেন, হানিফকে ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার পর সেখানে তার অপারেশন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে আইসিইউতে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছিল- এমন সময় মারা যায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনার দিন সকালে বার বার হানিফের মোবাইল নম্বরে কল করেন বাঘারপাড়ার জামদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল। একপর্যায়ে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। রাতে তারা জানতে পারেন, হানিফ গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

হানিফ যশোর শহরের লোন অফিসপাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে। তিনি সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের দাইতলায় জমি কিনে বসবাস শুরু করেন। যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ফন্টু চাকলাদারের বিশ্বস্ত সহযোগী হানিফ ফতেপুর যাওয়ার পর সম্পর্ক গড়ে ওঠে কামরুল ইসলাম টুটুলের সঙ্গে। প্রায় সার্বক্ষণিক তারা একসঙ্গে থাকতেন।

যশোর কোতোয়ালি থানার ইন্সপেক্টর কাজী বাবুল বৃহস্পতিবার জানিয়েছিলেন, কামরুল ইসলাম টুটুলের মালিকানাধীন বাঘারপাড়া থানার করিমপুরের এনআইবি ইটভাটার মধ্যে হানিফের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় টুটুল নিজেও হানিফের সঙ্গে ছিলেন। অবশ্য এরপর ওষুধ কিনতে যাওয়ার কথা বলে টুটুল আত্মগোপনে চলে যান।

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত হানিফের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি কয়েকবার জেলও খেটেছেন।

জানতে চাইলে বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলিম বলেন, বৃহস্পতিবার রাত ২টার পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় হানিফ মারা যান। তার লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রয়েছে।

মামলা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখন (বিকাল ৪টা) পর্যন্ত কেউ কোনও এজাহার দেননি।