সম্পত্তির লোভে জীবিত মাকে মৃত দেখিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ওয়ারিশ কায়েম সনদ নিলেন বিধবা মায়ের একমাত্র ছেলে সত্যজিৎ। ঘটনাটি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার কাশিমনগর গ্রামে।
শনিবার (২৮ জুন) বিকালে সংবাদ সম্মেলন করেন সত্যজিতের মা আশালতা হালদার (৬৫)। তিনি স্থানীয় মালোপাড়া দুর্গামণ্ডপে সশরীরে হাজির হয়ে নিজেকে জীবিত প্রমাণ করাসহ মিথ্যা ওয়ারিশ কায়েমের সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে আশলতা বলেন, ‘বসতবাড়ি ও সম্পত্তি আত্মসাতের হীন মানসিকতায় আমার ছেলে সত্যজিৎ এমনটি করেছে। স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রফিকুল ইসলামের সুপারিশের মাধ্যমে প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মোহাম্মদ ইউনুছ আলী মোড়ল স্বাক্ষরিত গত ৩১ মে ৩৩৬/২০২৫ নম্বর স্মারকে একটি ওয়ারিশ কায়েম সনদ প্রদান করেন। এ ঘটনায় ২০ জুন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির উপস্থিতিতে একটি সালিশি বৈঠকে জনরোষের মুখে ইউপি সদস্য ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।’
এদিকে সম্মেলনে উপস্থিত দুই মেয়ে মুক্তি সরকার, মমতা বিশ্বাস ও জামাতা ঠাকুর দাস বিশ্বাসসহ উপস্থিত এলাকাবাসী জানান, সালিশি বৈঠকের পর থেকে সত্যজিৎ পলাতক রয়েছে। অসহায় আশালতা নিজ ঘরে ঠাঁই না পেয়ে অন্যের বাড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
এ ঘটনায় ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুস আলী মোড়ল কপিলমুনি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আত্মগোপনে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ইউপি সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এটি তার ভুল হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনীন জানান, ঘটনাটি তার জানা নাই। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।