দ্বিগুণ করার লোভ দেখিয়ে গৃহবধূর নগদ অর্থ ও স্বর্ণ আত্মসাৎকারী গ্রেফতার

মধ্যবয়সী এক গৃহবধূর টাকা ও সোনার গহনা দ্বিগুণ করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে তা আত্মসাতের ঘটনায় পুলিশ প্রতারক ইসমাইল গাজী (৪৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যশোরের অভয়নগর উপজেলার ধোপাদী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার ইসমাইল গাজী ওই এলাকার আনছার আলী গাজীর ছেলে।

বুধবার (২ জুলাই) রাত ১০টায় যশোর পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাস ছয় আগে যশোর শহরের শংকরপুর এলাকার বাসিন্দা মধ্যবয়সী ওই বিধবা নারীর বাড়িতে যান ইসমাইল গাজী। তিনি নিজেকে কবিরাজ পরিচয় দিয়ে তাকে জানান, তিনি যেকোনও টাকার নোট ও স্বর্ণালংকার দ্বিগুণ করতে পারেন। তিনি মানুষের মূল্যবান সম্পদ সম্পদ দ্বিগুণ করে দেন। তাকে বিশ্বাস করানোর জন্য টাকার একটি নোটকে ডাবল করে দেখান। ওই নারী তার এই বিদ্যা দেখে বিশ্বাস করেন ও প্রলোভনে পড়ে যান।

এরপর গত ২৪ জুন দুপুরে ওই নারীর বাড়িতে তার ছোট বোন বেড়াতে আসেন। একই সময় কথিত ওই কবিরাজও তার বাড়িতে এসে হাজির হন এবং তার বোনকেও একটি নোট দ্বিগুণ করে দেখান। তার প্রলোভনে পড়ে ঘরে থাকা চার লাখ ২৫ হাজার টাকা ও তিন ভরি স্বর্ণালংকার তুলে দেওয়া হয়। এগুলো ইসমাইল গাজী একটি কার্টনের মধ্যে রেখে বলেন, দুই ঘণ্টা পর দ্বিগুণ হয়ে যাবে। কিন্তু ‘কবিরাজ’ অত্যন্ত সুকৌশলে ওই টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যান। পরে তারা কার্টনটি খুলে দেখতে পান তার মধ্যে কয়েকটি কাগজপত্র ছাড়া আর কিছুই নেই।

এই ঘটনা পুলিশকে জানালো হলে তারা অভিযান চালিয়ে ইসমাইল গাজীকে আটক করে। তিনি পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তার হেফাজত থেকে  নগদ তিন লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা এবং বিভিন্ন স্বর্ণালংকার যার ওজন ৪০.১০ গ্রাম (১টি আংটি, এক জোড়া বড় দুল, এক জোড়া পাশা, এক জোড়া বেবি পাশা, দুই জোড়া রিং, একটি নাকের আকড়া, একটি লকেটসহ চেইন, একটি লকেট ছাড়া চেইন ও একটি বালা) উদ্ধার করে। এই ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা  করা হয়েছে।

যশোর ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঞা বলেন, আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।