নেত্রকোনায় পাঁচ শিক্ষার্থী নিখোঁজ

নেত্রকোনানেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় পাঁচ শিক্ষার্থী গত ৯ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছে। গত ১ অক্টোবর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কথা বলে তারা বাড়ি থেকে বের হয়। এ ঘটনায়  ৫ অক্টোবর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন  নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের পরিবারের সদস্যরা।

নিখোঁজ হওয়া শিক্ষার্থীরা হলো জেলার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজার সংলগ্ন মহিষবেড় গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে আরিফ মিয়া(১৪), ফরিদ মিয়ার ছেলে বেলাল হোসেন(১৫), হেলাল উদ্দিনের ছেলে নয়ন মিয়া(১৪), আইনুদ্দিনের ছেলে মো. হৃদয়(১৩) ও হামেদ আলীর ছেলে রবিকুল ইসলাম(১৩)। বেলাল হোসেন শ্যামগঞ্জের শালদীঘা তালিমাত-ই-ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে ও নয়ন মিয়া একই মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর অপর তিনজন শ্যামগঞ্জের জালশুকা-কুমুদগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। পাঁচজনের মধ্যে বেলাল ও নয়ন সম্পর্কে চাচাত ভাই। আরিফ তাদের ভাতিজা। অন্য দুজনের বাড়িও তাদের পাশাপাশি।

পুলিশ ও নিখোঁজদের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১ অক্টোবর সকালে ওই পাঁচ শিক্ষার্থী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। নিখোঁজ শিক্ষার্থী বেলালের সঙ্গে একটি মুঠোফোন ছিল। নিখোঁজের দিন ও এর পরদিন ওই নম্বরে একাধিকবার কল করা হলেও কেউ রিসিভ করেনি। পরবর্তীতে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়ায় যায়।

নয়নের মা জামেলা খাতুন জানান, তার ছেলে সকালে ভাত খেয়ে তাড়াহুড়া করে মাদ্রাসা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ।

পুলিশ জানায়, শিক্ষার্থীরা নিখোঁজ হওয়ার দিন শ্যামগঞ্জ রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহগামী একটি ট্রেনে উঠেছে বলে স্থানীয়রা দেখতে পেয়েছে। শিক্ষার্থী বেলালের সঙ্গে থাকা মুঠোফোনের নম্বরটি ট্র্যাকিং করে ঢাকার কাকরাইল এলাকায় একটি মসজিদে অবস্থান করছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। পরবর্তীতে সেখানে তাদের স্বজনদের পাঠানো হলেও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ কিশোররা সবাই দরিদ্র পরিবারের সদস্য।

নিখোঁজ আরিফের বাবা শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘থানায় জিডি করার পর থানার ওসি আমাদের ঢাকার কাকরাইল মসজিদে পাঠান। সেখানে গিয়ে দুদিন থাকার পরও তাদের সন্ধান না পেয়ে চলে আসি।’

পূর্বধলা থানার ওসি আ. রহমান জানান, নিখোঁজদের সন্ধানে সর্বত্র চেষ্টা করা হচ্ছে। এদের মধ্যে দুজন আগেও এক/দেড় মাস নিখোঁজ ছিল। এ ব্যাপারেও খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে।

তালিমাত-ই- ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক রওশন আরা বেগম বলেন, ‘নিখোঁজ শিক্ষার্থী নয়ন প্রায়ই মাদ্রাসায় অনুপস্থিত এবং চুপচাপ থাকত।’

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী জানান, পুলিশের একটি টিম নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে।

/বিটি/