জমি পেলেন অভাবে সন্তান বিক্রি করা সেই মা

মা রেবী খাতুনের হাতে জমির দলিল তুলে দিচ্ছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসকঅভাবের তাড়নায় শিশু সন্তানকে বিক্রি করে দেওয়া মায়ের হাতে এক খণ্ড জমির দলিল তুলে দিয়েছেন জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান। রবিবার বিকালে মা রেবী খাতুনের হাতে দলিলের পাশাপাশি কাপড় ও এক বস্তা চালও তুলে দেওয়া হয়।

রেবী খাতুন জামালপুরের সীমানা ঘেঁষা কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার উত্তর বারবান্ধা গ্রামের দিনমজুর গোলাম মোস্তফার স্ত্রী। গোলাম মোস্তফা ও রেবী খাতুনের দুই সন্তানের পর জন্ম নেয় কন্যাশিশু বন্যা। অভাবী এই দম্পতির খেয়ে না খেয়ে দিন কাটলেও থাকার জন্য তাদের নিজস্ব কোনও জমি ছিল না। এ অবস্থায় রেবী খাতুন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চেংটিমারী গ্রামের পানফুল বেওয়ার কাছে তার ২২ দিনের সন্তান বন্যাকে ৩৫ হাজার টাকায় বেচে দেন। সেই টাকা দিয়ে তিনি অন্যের জমিতে ঘর তুলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এরই মধ্যে গণমাধ্যমের খবরে বিষয়টি জানতে পারেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবুদ্দিন খান। খবর পেয়েই তিনি ৩৫ হাজার টাকা দিয়ে শিশু বন্যাকে ফিরিয়ে এনে রেবী খাতুনের কোলে ফিরিয়ে দেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিশুর পরিবারকে নগদ ১০ হাজার টাকা সাহায্য দেয়া ছাড়াও প্রতিমাসে এক বস্তা করে চাল দেয়া হবে।

রবিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই পরিবারের হাতে ৬ শতাংশ জমির দলিল তুলে দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক জানান, ঘর তোলার জন্য এই পরিবারকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রবাসী ৫০ হাজার টাকা নগদ অনুদান দিয়েছেন। শিগগিরই সেই টাকা দিয়ে তাদের ঘর করে দেওয়া হবে।

রেবী খাতুন বলেন, ‘অনেক অভাবে পড়ে সন্তান বিক্রি করেছিলাম। কিন্ত আল্লাহর রহমতে জামালপুরের জেলা প্রশাসক আমার সন্তান ফিরিয়ে দিয়েছেন। তিনি আমাকে জমি দিয়েছেন। আমি খুব খুশি।

/এআরএল/

আরও পড়ুন: 

সুন্দরবনে শিশু দাস শিবির!