বুধবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১২ টা থেকে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত একটানা সাড়ে তিন ঘন্টার রুদ্ধধার বৈঠকে কলেজ জাতীয়করণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান ছাড়াও অংশ নেন ফুলবাড়ীয়ার সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন, ঈশ্বরগঞ্জের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমাম, জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট জহিরুল হক খোকা, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, ডিআইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা প্রশাসক মো. খলিলুর রহমান, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেনসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতারা। আরও অংশ নেন ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল হাশেম, সদস্য সচিব কলেজ শিক্ষক ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক ফজলুল হক। বৈঠকের সিদ্ধান্ত সাংবাদিকদের পড়ে শোনান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন।
এ বিষয়ে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, ‘শিক্ষকসহ দুই জনকে হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। পরিস্থিতি মোকাবেলাসহ সমস্যা সমাধানে আন্দোলনরত কলেজ শিক্ষকদের সঙ্গে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষকরাও বৈঠকের সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। কলেজ জাতীয়করণের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ করা হবে।’
ফুলবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজ সরকারিকরণ দাবি আদায় কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আবুল হাশেম বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান স্যার আমাদের ডেকে বৈঠক করেছেন। বৈঠকের সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিয়েছি। তবে কলেজ জাতীয়করণের সব প্রক্রিয়া আমরা চালিয়ে যাবো।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন বলেন, ‘আন্দোলনকারী শিক্ষকদের আমার সঙ্গে বৈঠক করতে বারবার অনুরোধ করেছি, কিন্তু তারা আমার কোনও কথা শোনেননি। আমার কথা শুনলে হতাহতের কোনও ঘটনাই ঘটতো না।’
আরও পড়ুন-
/এফএস/