ভালুকায় নিহত ১০

সড়কে প্রাণ গেল একই পরিবারের পাঁচজনের

ময়মনসিংহ তারাকান্দার দাদরা গ্রামের অসুস্থ পিতা আব্দুল জলিলকে দেখতে গিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেল রেজিয়া খাতুনের পুরো পরিবার। শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-সন্তানসহ পুরো পরিবার নিয়েই প্রাণ হারায় সে।

ট্রাক উল্টে নিহত ১০ জন (ছবি: ফোকাস বাংলা)ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভালুকার মেহেরাবাড়িতে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সিমেন্টের বস্তার চাপায় যে ১০ জন মারা গেছেন তাদের একজন রেজিয়া। দুর্ঘটনায় রেজিয়ার স্বামী তারাকান্দা উপজেলার ঢাকিরকান্দার গ্রামের আজিজুল হক (৩৫), তিন সন্তান মেহেদি হাসান (১১), নিজাম উদ্দিন (৮) ও সিজার হোসেন (৪) মারা যায়।

খবর পেয়ে পরিবারের পক্ষে মৃতদেহ নেওয়ার জন্য এসেছেন আজিজুলের ছোট ভাই শামসুল হক। ছোট ভাই শামসুল হক জানান, আজিজুল হক স্ত্রী ও তিন পুত্রকে নিয়ে ঢাকার বাসাবো এলাকায় বসবাস করতো। আজিজুল ও তার বড় পুত্র মেহেদী ভ্যান চালাতো এবং রেজিয়া খাতুন বাসাবাড়িতে কাজ করে সংসার চালাত।

তিনি আরও জানান, রেজিয়ার পিতা আব্দুল জলিল বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুশয্যায়। পিতাকে শেষবারের মতো দেখার জন্যই হতদরিদ্র রেজিয়া খাতুন স্বামী-সন্তান নিয়ে অল্প খরচে বাড়িতে যাওয়ার জন্যই ঢাকা থেকে সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের ওপর ওঠে।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দুদু মিয়া জানান, একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহ এলাকায় এসে পৌঁছলে তাদের দাফনের ব্যবস্থা করার কথাও জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা স্ক্যান সিমেন্ট বোঝাই দ্রুতগামী ট্রাক (নম্বর- ঢাকা মেট্রো-১১-০৩২৯) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভালুকার মেহেরাবাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে উল্টে যায়। এসময় সিমেন্টের বস্তার নিচে চাপা পড়ে ১০ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়।

/এমও/