৬ জুলাই শেরপুর কাটাখালী গণহত্যা দিবস

 

কাটাখালী বিল (ছবি- শেরপুর প্রতিনিধি)

৬ জুলাই শেরপুরের কাটাখালী গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এদিন পাকিস্তানি বাহিনী ঝিনাইগাতীর রাঙামাটি খাঠুয়াপাড়া গ্রামে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালায়। এতে প্রাণ হারায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বেশ কয়েক জন গ্রামবাসী। প্রতিবছর দিনটিকে ঘিরে থাকে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালের ‘স্বাধীনতা পদক’ (মরোনত্তর) পান কাটাখালী যুদ্ধের কোম্পানি কমাণ্ডার শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এন এম নাজমুল আহসান। দিবসটি ঘিরে তার গ্রামের বাড়ি নালিতাবাড়ির নাজমুল স্মৃতি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে দোওয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

উল্লেখ্য ১৯৭১ সালের ৫ জুলাই অপারেশন শেষ করে মুক্তিযোদ্ধারা রাঙামাটি খাঠুয়াপাড়া গ্রামে দুটি দলে বিভক্ত হয়ে হাজী নঈমুদ্দিন ও হাজী শুকুর মামুদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে ৬ জুলাই  সকালে কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই গ্রামে ঢুকার এক মাত্র কাঁচা সড়কে দুদিক থেকে ব্যারিকেড দেয় পাকিস্তানি বাহিনী ও রাজাকার, আলবদররা। মুক্তিযোদ্ধারা বিলের পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মরক্ষার্থে গুলি করতে করতে পিছু হটে। এ সময় পাকহানাদারদের বেপরোয়া গুলিতে কোম্পানি কমান্ডার এন এম নাজমুল আহসান, তার চাচাত ভাই মোফাজ্জল হোসেন ও ভাতিজা আলী হোসেন শহীদ হন। বাকি মুক্তিযোদ্ধারা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান পেলেও, বর্বরোচিত হামলার শিকার হন রাঙামাটি খাঠুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা। তাদের ৬০/৭০ জনকে কোমরে দড়ি বেঁধে নির্যাতন করা হয়। তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। অমানবিক নির্যাতনের পর লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় ৬ গ্রামবাসীকে।

/জেবি/

আরও পড়তে পারেন: লংগদুতে তদন্ত কমিটির গণশুনানি