মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে ১৫৫ জন উপকারভোগী ভিজিডি কার্ডধারী দুই মাসের স্বাক্ষর নিয়ে এক মাসের চাল বিতরণ করেন। তাছাড়া একই বছরের ডিসেম্বর মাসে মেসার্স জনতা রাইস মিল থেকে ট্যাগ অফিসারের স্বাক্ষর ও ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করে ৪.৬৫০ মেত্রিক টন চাল উত্তোলন করে বিক্রি করে। এঘটনায় ৪.৬৫০ মেট্রিক টন চাল প্রতি কেজি ৩৭.৮৪ টাকা হিসেবে ১,৭৫,৯৩৯ টাকা আত্মসাৎ ও ১৫৫ জন ভিজিডি কার্ডধারীর এক মাসের চাল আত্মসাতের অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪০৯ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় অভিযোগে দুদক স্পেশাল মোকদ্দমা নং ২৭/২০১৬ দাখিল করে।
এছাড়াও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এলজিএসপির প্রথম পর্যায়ের ১৫ লাখ ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন ঐ ইউনিয়ন পরিষদের ৭ সদস্য। এছাড়া তিনি নাগরিকদের সনদের বই ব্যক্তিগত ভাবে ছাপিয়ে সরকারি কোষাগারে না দিয়ে আত্মসাৎ করারও অভিযোগ রয়েছে।
ওসি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই চেয়ারম্যান মুখলেছুর রহমানের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। অর্থ আত্মসাৎ ছাড়াও তার নামে ২ টি হত্যা মামলা রয়েছে। পরে মঙ্গলবার জামিন আবেদন করতে আসলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।