‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ছাত্রদলকর্মীর পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপি মহাসচিব

নিহত আমজাদের পরিবারনেত্রকোনায় পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ছাত্রদলকর্মী আমজাদ হোসেনের মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলে পরিবারের খোঁজ নিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি এজমল হোসেন পাইলট নিহতের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তার ফোনেই আমজাদের মা ও স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে এজমল হোসেন পাইলট বাংলা ট্রিবিউনকে এই খবর নিশ্চিত করেন। 

সারাদেশে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পুলিশের ধারাবাহিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সোমবার দিবাগত রাতে নিহত হয় আমজাদ। 

এজমল হোসেন পাইলট জানান, কথা বলার সময় মহাসচিব আমজাদের পরিবারের খোজঁ-খবর নেন ও তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন। কথা বলার সময় আমজাদের মায়ের আর্তনাদে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে।

পাইলট তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, আমজাদ ২০১৪ সালে সরকার বিরোধী আন্দোলনে শামিল হয়ে সাড়ে ৫ মাস কারাগারে ছিলো এবং  ২০১৫ সালের আন্দোলনের পর ৬ মাস কারাবরণ করেছে। এছাড়াও বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করার পর নেত্রকোনা শহরে সর্বোচ্চ সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল। বর্তমানে ১৫ টি অধিক রাজনৈতিক মামলার আসামী হয়ে পদহীন অবস্থায় নিহত হয়েছে বলেও লেখা হয় পোষ্টে।

এজমল হোসেন পাইলট বুধবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি ঘটনার খবর পেয়েই নেত্রকোনায় আমজাদের পরিবারের কাছে ছুটে গিয়েছিলাম।

উল্লেখ্য যে মঙ্গলবার গভীর রাতে নেত্রকোনা মডেল থানার মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে সদর উপজেলার মেদনী ইউনিয়নের বড়য়ারী এলাকায় আমজাদ মারা যায়।

আরও পড়ুন: ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ছাত্রদল নেতা নিহত: পুলিশের দাবি মাদক ব্যবসায়ী, পরিবারের দাবি নিরপরাধ