হালুয়াঘাটে তুচ্ছ ঘটনায় কলেজ ছাত্র খুন

ময়মনসিংহ

হালুয়াঘাটে মোবাইল ফোনে বাজে কমেন্টস করাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় নাফি আল নাজরান নামে এক কলেজ ছাত্র খুন হয়েছে। নাজরান খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হালুয়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার।

তিনি জানান, উপজেলার বালিচান্দা গ্রামের এমদাদ মেম্বারের মেডিক্যাল পড়ুয়া মেয়ে রিতুর ফেসবুকে দক্ষিণ মনিকুড়া গ্রামের হালিমের ছেলে সুমন বাজে কমেন্টস করে। রিতু বিষয়টি তার খালাতো ভাই উত্তর বাজারের নাজমুল হুদার ছেলে নাফি আল নাজরানকে জানায়। নাজরান সুমনকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এর এক পর্যায়ে সুমনের গালে থাপ্পর দেয় নাজরান। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমন তার বন্ধুবান্ধবকে সঙ্গে নিয়ে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে সেন্টমেরিস হোস্টেলের পুকুর পাড়ে নাজরানকে ডেকে আনে। পরে কথা বলার এক পর্যায়ে নাজরানকে লাঠি দিয়ে মারধর করে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে নাজরানের বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে বাসায় দিয়ে আসে। মারধরের বিষয়টি নাজরান বাসার কাউকে জানায়নি। মধ্য রাতে নাজরান অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নাজরানের বাবা নাজমুল জানায়, প্রতিদিনের মত নাজরান রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। গভীর রাতে নাজরান ঘুমের ঘোরে গোঙাতে থাকে এবং গুরুতর অসুস্থ হয়ে পরলে হাসপাতালে নেওয়ার পর নাজরান মারা যায়। তিনি নাজরানের হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃস্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন।

নাজরান হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শনিবার সকালে দক্ষিণ মনিকুড়া গ্রামের সিদ্দিকের ছেলে সিয়াম, মজিবুরের ছেলে অয়ন, হালিমের ছেলে হিমেল ও বাবুলের ছেলে সুলায়মানকে আটক করা হয়েছে।  আটককৃতরা সকলেই সেন্টএন্ড্রুজ উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র। 

হালুয়াঘাট থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার আরও জানান, এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে । ময়না তদন্তের জন্য লাশ ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে ।