শেরপুর-২ আসনে মতিয়া চৌধুরীর প্রতিদ্বন্দ্বী রিপন

01শেরপুর-২ (নালিতাবাড়ী- নকলা) আসনে বিএনপি থেকে দলের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন সদ্য পদত্যাগী নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চারবারের সংসদ সদস্য ও তিনবারের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর সঙ্গে লড়বেন তিনি।
শুক্রবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের চূড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন।
এর আগে এ আসনে গত ২৭ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয় তিনজন প্রার্থীকে। ২ ডিসেম্বর জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে যাচাই-বাছাই শেষে একেএম মুখলেছুর রহমান রিপনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন কর্তৃপক্ষ। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগের মন্ত্রণালয় কর্তৃক গ্রহণের কপি না থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। পরে নির্বাচন কমিশনের আপিল বিভাগে আপিল করলে ৫ ডিসেম্বর তার মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
উল্লেখ্য, একেএম মুখলেছুর রহমান রিপন শেরপুর সরকারি কলেজে পড়াশোনা অবস্থায় জেলা ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রীয় ছিলেন। ওই সময় নানা রাজনৈতিক মামলায় তিনি জড়িয়েছেন। এরপর ২০০৩ সালে তরুণ বয়সেই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিয়ে তার নিজ এলাকা নন্নী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৭ সালে দ্বিতীয় বারেরমতো তিনি ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিনের আমল (ওয়ান ইলেভেন) মিলে তিনি দীর্ঘ সময় এ দায়িত্ব পালন করে ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। একপর্যায়ে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন ছেড়ে দিলে তাকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং আওয়ামী লীগের দুই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি নির্বাচিত হন। তার ছোট ভাই একেএম মাহবুবুর রহমান রিটন বর্তমানে নন্নী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান। বড় ভাই মোস্তাফিজুর রহমান আব্দুল্লাহ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক।